বিজেপি ছেড়ে পাঁচশো দলীয় কর্মী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন কোচবিহার জেলা বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা সম্পাদক শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ। সোমবার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ছিলেন অনগ্রসর উন্নয়ন কল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, কোচবিহার পুরসভার প্রশাসনিক আধিকারিক ভূষণ সিং সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কোচবিহার সদর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপির যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পরে তার অন্যতম কাণ্ডারী শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ। তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ফলে পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের সাংগঠনিক ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাঁকে দলের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান জেলা সভাপতি। বিজেপিতে সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও দল তাঁকে এক ঘরে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউয়ের। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়নের সাথী হিসেবে তিনি কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন”। তাঁর সঙ্গে আরও ৫০০ জন বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরা সকলেই বিজেপির ব্যবহারে ক্ষুব্ধ।

যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভার মন্তব্য, দলের গুরুত্বহীন নেতা কোথায় গেল তা নিয়ে দলের মাথা ব্যথা নেই। সে চলে যাওয়াতে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা কোনওরকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না’।
