নির্বাচনে ভুয়ো তথ্য, অর্জুনের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে কমিশনে চিঠি

ফের বিপাকে সাংসদ অর্জুন সিং। এবার ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচনী এফিডেফিডে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন সাংসদ। আর তার জেরেই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেন ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বারাকপুরের নির্দল প্রার্থী গোপাল রাউত। তাঁর দাবি, কমিশন তদন্ত করে এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।

কমিশনকে লেখা চিঠিতে গোপাল বলেছেন, ১৯৬১ সালের নির্বাচন বিধির ৪এ ধারা অনুযায়ী ভোটে প্রার্থী হলে সেই ব্যক্তিকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে এফিডেফিড দিয়ে জানাতে হবে তিনি কোথাও বন্ড, ডিবেঞ্চার/শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড মারফত কোনও বিনিয়োগ করেছেন কিনা। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বারাকপুরের বর্তমান বিজেপি সাংসদ এফিডেফিডে জানিয়েছেন, তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ‘শূন্য’। কিন্তু সম্প্রতি জানতে পেরেছি বেঙ্গালুরুর ফোর্ট ফার্মস লিমিটেডে সাংসদ অর্জুন সিং বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সংস্থার ২ লক্ষ শেয়ার নিজের নামে কিনেছেন। কোম্পানির অফিসও রয়েছে কলকাতার ব্রেবোর্ন রোডে। বিএসই-র ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ২০২০-র জুন মাসেও অর্জুন সিংয়ের নামে এই শেয়ারগুলি রয়েছে। আর ভোটের জন্য সাংসদ এফিডেফিড দাখিল করেছিলেন ২০১৯-এর ১৭ এপ্রিল। অর্থাৎ তথ্যই বলছে অর্জুন ভুয়ো তথ্য দিয়েছিলেন।

গোপাল আরও বলেন, সরকারি নথিই দেখিয়ে দিচ্ছে, অর্জুন সিং ভুয়ো তথ্য দিয়ে জিতেছিলেন। কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৫এ ধারা অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক সাংসদের বিরুদ্ধে। এর ফলে এলাকার মানুষের সঙ্গে আমিও প্রার্থী হিসাবে যথাযথ বিচার পাব। অর্জুনের বাড়িতে তল্লাশির পর এই অভিযোগ। বিজেপি সাংসদ প্রবল চাপে পড়লেন নিশ্চিতভাবে বলে যায়।

Previous articleকংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনিয়ার, সোমবার জরুরি বৈঠক 
Next articleলকডাউনে কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ, সিভিক ভলান্টিয়ারের রক্তে প্রাণ ফিরে পেল ১১ বছরের সুপ্রিয়