সাত বছর পরে ফের ত্রিমুকুট বায়ার্ন মিউনিখের

পিএসজি ০  • বায়ার্ন ১

সাত বছর পরে ফের ত্রিমুকুট বায়ার্ন মিউনিখের। ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী হল বায়ার্ন মিউনিখ । ফাইনালে প্যারিস সাঁ জাঁ-কে ১-০’য় হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় রবার্ট লেওয়ানডস্কি-র দল । খেলার ৫৯ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ে ৮ বার মুখোমুখি হয় PSG ও বায়ার্ন । এরমধ্যে পাঁচবার জিতেছে PSG । সেদিক থেকে দেখতে গেলে ফাইনালে মানসিকভাবে এগিয়ে ছিল নেইমারের দল । অন্যদিকে PSG-র কাছে হারলেও গ্রুপ পর্যায়ে থেকে ফাইনাল পর্যন্ত প্রত্যেক ম্যাচে জয়লাভ করেছিল বায়ার্ন । ফাইনালের প্রথম একাদশে তাদের চমক ছিল কোম্যানকে নিয়ে আসা । তাঁর উপর আস্থা রেখে দল যে ভুল করেনি, তা প্রমাণ করেছেন কোম্যান।লিসবনে রবিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লড়াইটা মূলত ছিল ফুটবল বিশ্বের দুই নায়কের একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ায়। প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র ব্রাজিলীয় তারকা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র বনাম বায়ার্ন মিউনিখের তারকা ফুটবলার রবার্ট লেয়নডস্কির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই দ্বৈরথে ১-০ জয়ী হয়েছে হান্স ফ্লিকের প্রশিক্ষণাধীন বায়ার্ন মিউনিখই।
যদিও বায়ার্নের জয়ের গোলটি এসেছে কিংসলে কোম্যানের হেড থেকে। যিনি পিএসজি অ্যাকাডেমিরই ফসল। ৫৯ মিনিটে পিএসজির লেফ্ট ব্যাকের জায়গা থেকে ঠিকানা লেখা লম্বা বল ছ’গজ বক্সে কোমানের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণে অরক্ষিত থাকা কোমান অবলীলায় সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে তা জড়িয়ে দেন পিএসজি-র জালে। ফলে প্রথম বার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় অধরাই থেকে গেল নেমার-এমবাপেদের দল প্যারিস সাঁ জারমাঁর। খেলা শেষে নেমার মাঠ ছাড়লেন চোখের জল মুছতে মুছতে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও কাছাকাছি এসেও গোলের দরজা খুলতে পারলেন না।

টানটান উত্তেজনার ফাইনালের প্রথম ৪৫ মিনিট নেমার বা লেয়নডস্কি গোলের সুযোগ পেলেও আসল কাজটি করতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। ম্যাচে শুরুর প্রথম ২০ মিনিট পিএসজি আক্রমণে ঝড় তুললেও বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার তৎপর থাকায় সমস্যায় পড়েনি দল। ১৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে গোল করার কাছাকাছি জায়গায় চলে এসেছিলেন। ১৮ মিনিটে  নেমারের কোণাকুণি শট রুখে নিশ্চিত পতন বাঁচান ন্যয়ার। নেমারের শটের সময় গোলের কোণ ছোট করে দিয়েছিলেন বায়ার্ন গোলরক্ষক। ফলে নেমার বল মারেন ন্যয়ারের শরীরে। ফিরতি বলে নেমার আবার গোলের চেষ্টা করলে তাও আটকে দেন ন্যয়ার।

Previous articleআজ রাজ্যের হবু শিক্ষকদের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা হাইকোর্টে
Next articleঘুরে দাঁড়ানোর পথে উত্তরের পর্যটন, পাহাড় খোলার জন্য প্রস্তাব সরকারের কাছে