আজ রাজ্যের হবু শিক্ষকদের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা হাইকোর্টে

আজ রাজ্যের হবু শিক্ষকদের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ১৪ হাজার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদ থাকা সত্ত্বেও একাধিক মামলার গেরোয় সেই পদে নিয়োগ বন্ধ। হবু শিক্ষকেরা ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন ঠিকই, স্কুল সার্ভিস কমিশনও চাইছে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি। এই মর্মে তারা একটি স্পেশাল কোর্ট বসানোর আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হতে চলেছে। এমনকি কমিশনে এও জানিয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতির আবহে কোনও প্রার্থীকেই সশরীরে হাজির হতে হবে না কাউন্সিলিংয়ের জন্য। অনলাইনেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমেই হবু শিক্ষকরা তাদের স্কুল বাছাই করার সুযোগ পাবেন।
এই রায়ের উপর নির্ভর করছে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ। ইচ্ছামত টেটের নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়া, রেসিও না মানা প্রভৃতি অভিযোগে জেরবার কমিশন। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে । তবে সবকিছু নির্ভর করছে আদালতের উপর।
আজ উচ্চ প্রাথমিকের মামলাটি (W ৯৫৯৭) বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে ১৩ নম্বর কোর্টের ১ নম্বর সিরিয়ালে আছে। ফলে শুনানির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে মামলাটি লড়বেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস সামিম, সুবীর সান্যাল।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময় আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৫ সালে নেওয়া হয় টেট পরীক্ষা। অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয়। তাতেও অনিয়মের বহু অভিযোগ ওঠে। আদালতের দ্বারস্থ হন অনেকেই। এই মুহূর্তে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জেরে আটকে আছে। আজ কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছে সেই মামলারই শুনানি।

Previous articleরবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ বলায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ অনুব্রতর  
Next articleসাত বছর পরে ফের ত্রিমুকুট বায়ার্ন মিউনিখের