আবার দিল্লির তলব।
তবে করোনা-আইসোলেশনের কারণে আপাতত কটা দিন যাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ। যাবেন দিনকতক পরে।

সূত্রের খবর, দলে দিলীপবাবুর প্রতিপক্ষ শিবিরের কিছু অভিযোগ নিয়ে কথা হবে। ইতিমধ্যেই তাঁকে বলা হয়েছে মিলেমিশে চলতে। বিক্ষুব্ধ কয়েকজনকে পদ দেওয়ার কথাও বলতে পারে দিল্লি। এমনকি রাজ্য সভাপতি বদলের গুঞ্জনও ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সূত্রের খবর, দরকারে এবার ইস্তফার কথা ভাবছেন তিতিবিরক্ত দিলীপ। যেভাবে একের পর এক মুখ ভেসে উঠছে দলে, যেভাবে ক্রমাগত তাঁর বিরোধিতা করা হচ্ছে; তাতে এসব আর সহ্য করবেন না তিনি। তাঁর পাল্টা হিসেবে মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্তর নাম ছিলই। এবার তথাগত রায়ের নামও যোগ হয়েছে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সামনে রাখার রটনাও চলছে। ফেস বুক পেজও খোলা হয়েছে।

দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠমহল বলছে, একাধিক বুদ্ধিজীবী নেতা সভাপতি থাকাকালীন তো দলের ফলাফলের দৌড় দেখা গিয়েছে। একজন বিধায়কও ছিল না। সেখানে দিলীপ ঘোষের মত “শ্রমজীবী” নেতা দলকে সাফল্য দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির একমাত্র সভাপতি দিলীপবাবু যিনি নিজে পরপর দুটো নির্বাচন জিতেছেন। অনেকেই তো বারবার পরাজিত হয়েছেন। এহেন দিলীপবাবু যখন কাজ করতে যাচ্ছেন, তখন প্রতি পদক্ষেপে নানা বিরোধিতা আসছে। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। কখনও দিল্লিতে লবিবাজি করে নালিশ। অন্য মানসিকতার দিলীপ এসব আর বরদাস্ত করতে পারছেন না। এবার যদি দেখেন বেশি গোষ্ঠীবাজির বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তিনি সটান ইস্তফা দিয়ে দেবেন। একনিষ্ঠ আর এস এস সংগঠক দিলীপ ঘোষের এসব পদ নিয়ে কিছু যায় আসে না, এটা তিনি ঘনিষ্ঠমহলে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন।


সূত্রের খবর, তাঁকে আর সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে যেতে বলেছে দল। এদিকে কৈলাস আর মেনন কলকাতায় মুকুল বা শোভনকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত। দিল্লিতে কট্টর দিলীপবিরোধী ভূমিকায় বাবুল সুপ্রিয়। তথাগত রায়কে ভাসিয়ে তোলা হচ্ছে। শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক স্বপন দাশগুপ্তর নাম জড়িয়েছে কৈলাস-মুকুল শিবিরের সঙ্গে। দিলীপবাবুর সঙ্গে থাকা বড় নাম বলতে শুধু সুব্রতবাবু। ভোট এগিয়ে যত আসছে, তত দিল্লিকে বোঝানো হচ্ছে দিলীপ ঘোষ যেভাবে চলছেন, তাতে সাফল্য আসবে না। তৎকাল বিজেপির গোষ্ঠী লাগাম ধরতে চাইছে।

সূত্রের খবর, এই অবস্থায় দিলীপবাবু মনস্থির করে নিয়েছেন। গত কদিন তিনি যথেষ্ট নরম আছেন। কিন্তু এর পরেও খোঁচাখুঁচি অব্যাহত থাকলে তিনি ইস্তফা দিয়ে দেবেন।
