মোদি সরকারের ঘোষণা, ‘পুরনো’ কেন্দ্রীয় কর্মীদের যে কোনও সময়ে বাধ্যতামূলক অবসর

কেন্দ্রীয় সরকারের পুরনো কর্মীদের ‘সুখের দিন’ শেষ !

৫০-৫৫ বছর বয়স বা ৩০ বছর কাজ করেছেন এমন যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে “জনস্বার্থ রক্ষা” করতে সরকার যে কোনও মুহূর্তে অবসরগ্রহণে বাধ্য করতে পারে৷ এমনই জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার।

চাকরিক্ষেত্রে ৩০ বছর পার করেছেন, এমন কর্মীদের কর্মদক্ষতা এবার খতিয়ে দেখা হবে। দেখা হবে তাঁরা কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন কিনা। রেকর্ডে যদি স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায় তবে তাঁদের অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হবে। এবং এই কাজ করা হবে ‘জনস্বার্থে’৷ কর্মীবর্গ-মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিটি কেন্দ্রীয় দফতরে এই সার্ভিস রেকর্ড রিভিউ চালু হতে চলেছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বেতন পান, এমন কর্মীদের কর্মদক্ষতা বিচার করা হবে মৌলিক বিধি ৫৬ (J)এবং ৫৬ (I), এবং সেন্ট্রাল সিভিল রুল, ১৯৭২-এর ৪৮ (১) ধারার আওতায়। এই ধারায় বলা আছে, জনস্বার্থে যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করার এক্তিয়ার আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার আগেই অবসরগ্রহণে বাধ্য করার অর্থ, তা আদৌ কোনও শাস্তি নয়। এটা বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণের নামান্তর। কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস রুল ১৯৬৫ অনুযায়ী কর্মে বিচ্যুতির জন্য এই বিধি প্রয়োগ করা যায়। ৫০-৫৫ বছর বয়স বা ৩০ বছর কাজ করেছেন এমন যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে সরকার যে কোনও মুহূর্তে অবসরগ্রহণে বাধ্য করতে পারে জনস্বার্থের বিষয়টিকে সামনে রেখে।
মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একই সঙ্গে কাজের গতি পর্যবেক্ষণ, কর্মপদ্ধতির মূল্যায়ণ, এবং বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণকে ‘এক জানালা’-য় আনতে এই বিধি কার্যকর করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সমস্ত কেন্দ্রীয় দফতরের সেক্রেটারির কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

Previous articleঅত্যন্ত সঙ্কটজনক প্রণব মুখোপাধ্যায়
Next articleপাক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তোপ ফারুখ আবদুল্লার