এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে মুক্তি পেলেন শিশু চিকিৎসক কাফিল খান

দীর্ঘদিন পর অবশেষে মুক্তি পেলেন শিশু চিকিৎসক কাফিল খান। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে৷ জাতীয় নিরপত্তা আইনে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার ওই বিশিষ্ট চিকিত্‍সককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷ তাকে ১৫৩ (এ)-ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভিত্তিতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়৷ পরে অতিরিক্ত ১৫৩ বি, ৫০৫ (২) ধারা যোগ করা হয়৷ প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর ১০ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিএএ বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷
তিনি আপাতত মথুরা জেলে বন্দি আছেন।
এ দিনের শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, “তার বক্তব্যের মধ্যে এমন কিছু ছিল না, যাতে ঘৃণা বা হিংসা প্রচারের প্রচেষ্টা করা হয়েছে । ওই বক্তৃতায় আলিগড় শহরের শান্তি এবং শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও কারণও ছিল না”।
তিনি খবরের শিরোনামে আসেন ২০১৭ সালে। গোরক্ষপুরে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে যখন একের পর এক শিশু মৃত্যু হচ্ছে তখন শিশু চিকিত্‍সক কাফিল খান নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন।
অক্সিজেনের অভাবে ৩০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কঠোরতম সাজার আশ্বাস দেওয়ার পরেই সেই তাকে রাতারাতি বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

Previous articleনিজের হাতে ভাপা ইলিশ রেঁধে খাইয়েছিলেন দাদা প্রণবকে, শোকস্তব্ধ বঙ্গবন্ধু কন্যা
Next articleরাতারাতি জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করলে বিপর্যয় হতে পারে, সতর্ক করল হু