যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন মনের মণিকোঠায় থাকবেন প্রণবদা, স্মৃতিচারণা বুলা চৌধুরীর

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে রীতিমতো মন খারাপ সাঁতারু বুলা চৌধুরীর। তিনি কখনও ভুলতে পারেন না পক প্রণালী পার হতে গিয়ে যখন তিনি অনুমতির গেরোয় আটকে পড়েছিলেন , তখন সাহায্যের হাত যিনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদার মতো স্নেহের হাত মাথায় রেখেছিলেন, তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বুলা বলেছেন, যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন মনের মণিকোঠায় থাকবেন প্রণবদা।

পদ্মশ্রী বুলা চৌধুরীর স্মৃতিচারণা, পক প্রণালী পার হওয়ার অনুমতির জন্য আমি তখন দিল্লিতে এক দফতর থেকে আরেক দফতরে ছোটাছুটি করছি। শেষ পর্যন্ত সাহায্য চাইতে হাজির হয়েছিলাম তাঁর কাছে। তিনি সব কথা শোনার পর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছিলেন। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একজন সাঁতারুর স্বপ্নকে সফল করতে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। ২০০৪ সালে সেই সময় শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রতিরক্ষা দফতর থেকে তার অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে রাত দুপুরে তিনি দেখা করেছিলেন প্রণব বাবুর সঙ্গে । বুলাকে বোন সম্বোধন করে ফোনে প্রণববাবু বলেছিলেন , বুলা আমার বোন। দেখো যেন ওর কোনও সমস্যা না হয়। তার সেই এক ফোনেই অনুমতি মিলেছিল। এরপর তাদের ফের দেখা হয়েছিল পুরস্কারের মঞ্চে। সেবছর প্রণব মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন পদ্মবিভূষণ আর বুলা পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী।
বুলা নিজের লেখা একটি বই তুলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতে। নিমেষে এক নিঃশ্বাসে সেই বইটি শেষ করে ফেলেছিলেন তিনি। এমনই নানান কথা ঘুরেফিরে মনে আসছে কৃতী সাঁতারুর। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে এমন নানান কথা ভিড় করছে তার মনে।

Previous articleকর্মরত চিকিৎসকদের আসন সংরক্ষণ রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত: সুপ্রিম কোর্ট
Next articleসুশান্তের মৃত্যুতদন্তে দীপেশের চ্যাটে নয়া মোড়