গেরুয়া নেতা-কর্মীদের দলে টেনে বাঁকুড়ায় বিজেপিকে কার্যত সাফ করার পথে তৃণমূল

একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ক্রমশ নিজেদের ঘর গুছিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিজেপি ও বিরোধী শিবির ছেড়ে ঘাসফুল যোগদান অব্যাহত। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার বাঁকুড়া জেলায় পদ্ম শিবিরে ফের বড়সড় ভাঙন। আজ, বুধবার ছেড়ে বেশ কয়েকজন নেতা-সহ শতাধিক কর্মী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন।

এদিন বিজেপি ছেড়ে আসা সমস্ত নেতা-কর্মীদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।

জেলা তৃণমূলের দাবি, এদিন বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল এস.সি মোর্চার সভাপতি বাবলু মার্ডিজ, ওই দলের প্রাক্তন কোতুলপুর ব্লক সম্পাদক মহিমা রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, বি.জে.এম.টি.ইউ-র জেলা সভাপতি, ইন্দপুরের মদন দাস মহন্ত, জেলা শিব সেনা যুব সভাপতি শান্তিময় মালগোপ, এস.সি, এস.টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, তালডাংরার বিশ্বনাথ মাণ্ডি, নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য, ওন্দার বাবর আলি খান, প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি, সারেঙ্গার আশিস গিরি, বাউরী সমাজ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ বাউরী, বি.জে.এম.টি.ইউ-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, কোতুলপুরের অভিজিৎ সাঁতরা সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব এদিন গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন।

এদিন বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা-কর্মীরা সকলেই একসুরে সাংসদ সুভাষ সরকারকে একহাত নেন। তাঁদের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার জেলা বিজেপি। বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সাংসদের “পৈতৃক সম্পত্তি” হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনকি, সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মানুষ একদিনও সুভাষ সরকারকে পাশে পায়নি বলেও দাবি তাঁদের। তাই বাঁকুড়ার মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ভাঙন ধরানোর পর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক।

আরও পড়ুন- দেশের ১৮ -৪৪ বয়সীদের মধ্যেই সংক্রমণ বেশি, তথ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

Previous articleদেশের ১৮ -৪৪ বয়সীদের মধ্যেই সংক্রমণ বেশি, তথ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
Next articleআইএসএলে ইস্টবেঙ্গল: অসম্ভবকে সম্ভব করায় মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা লাল-হলুদ কর্তাদের