সাতসকালে শহরের বাজারগুলিতে আচমকাই হানা ইবির! তারপর যা হলো

সাতসকাল শহরের বাজারগুলিতে আচমকা হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে
কলকাতার মানিকতলা বাজার, বৈঠকখানা বাজার, কোলে মার্কেট ও পোস্তাবাজার পরিদর্শন করলন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।

বেশ কয়েকদিন ধরে বাজারগুলোতে আলুর দাম আকাশছোঁয়া। মহামারি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আর্থিক অনটনের মধ্যেই আলুর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।যেখানে শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মানুষ বেশিরভাগটাই মানুষ আলুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল, সেখানে আলুর দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের পকেটের অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল। আলু কিনতে গিয়ে হাতে ছাক্যা লাগছিল।

শহরের বাজারগুলোতে কোথাও কোথাও আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এই নিয়ে নবান্ন থেকে একবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও আলু ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এ দিন সকালে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেন এবং বাজার ঘুরে ঘুরে সমস্ত আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বেরোবে ২২ টাকায় এবং তারপর আরও ৫ টাকা ছাড় দেওয়া হবে। এই পাঁচ টাকা ছাড় দেওয়ার কারণ, ট্রান্সপোর্ট এবং অন্যান্য জিনিসের খরচার জন্য। এরপর খুচরো দোকানদাররা ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে। তার থেকে এক পয়সাও বেশি নেওয়া যাবে না বলে এদিন ইবির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ইবি জানিয়েছে, যদি দোকানদাররা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে ২৮ টাকা দামে আলু কেনে, সেক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষতিস্বীকার করেই তাঁদেরকে ২৭ টাকা দামেই আলু বিক্রি করতে হবে। তার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যখন আলুর দাম ভালো থাকে ব্যবসায়ীরা তাতে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা লাভ করে। কিন্তু এখনকার যখন পরিস্থিতিতে বেশি দাম দিয়ে কিনলেও ২৭ টাকাতেই বিক্রি করতে হবে।

যা নিয়ে খুচরো আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তবে ইবির তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৭ টাকার বেশি দামে যদি আলু বেশি বিক্রি করা হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একইসঙ্গে ইবি আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে যখন আলু বেরিয়ে হোলসেলারদের কাছে যখন আসবে তা ২৫ টাকা দামে খুচরো বিক্রেতাদের দিতে হবে, সেখানেও এক পয়সা বেশি নেওয়া যাবে না। তারপর খুচরা বিক্রেতারা তা বিক্রি করবেন ২৭ টাকা দামে। পরবর্তী সময় যখন আলুর দাম কমবে সেই হিসেবে আবার নতুন দাম নির্ধারিত হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আধিকারিকরা।