Monday, August 25, 2025

পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরাও শিক্ষক। আংশিক সময়ের শিক্ষকরাও শিক্ষক। পড়ান তাঁরা একই। পরিশ্রমও এক। তাহলে সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক নয় কেন? এমনই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্ট টাইম বা আংশিক সময়ের শিক্ষকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, প্যারা টিচারদেরও একই স্কেলে বেতন হবে। অর্থাত্ বেসিক পে বা মূল বেতন হবে একই।এর ফলে প্যারা টিচাররা যে বাড়তি বেতন পাবেন তা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। এই রায় অনুযায়ী পূর্ণ ও আংশিক সময়ের শিক্ষকদের মূল বেতনে আপ ফারাক থাকবে না।

আরও খবর : অনুপমের মুখে এবার ইংরেজি গান, আসছে নতুন ভিডিও

আদালতে এ নিয়ে মামলা করেছিলেন শিক্ষক অনির্বাণ ঘোষ ও বরুণকুমার ঘোষ। বর্ধমানের দু’টি হাইস্কুলের শিক্ষক তাঁরা। ২০১৯ সালে হাইকোর্টে সমান কাজে সমান বেতন এই রায়কে হাতিয়ার করে লড়াই শুরু করেছিলেন তাঁরা। শিক্ষকদের আবেদনকে পালটা চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য।কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ রায় শিক্ষকদের পক্ষেই যায়। আংশিক বা পূর্ণসময়ের যে শিক্ষকই হোন না কেন, তাঁদের একই কাজ করতে হয়। কাজেই তাঁরা একই মূল বেতন দাবি করতে পারেন। এটা ন্যায্যা।

আরও খবর : বাংলার ভোট, বিজেপি এবং রিয়া চক্রবর্তী, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

পালটা রাজ্য বলেছিল পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত হন পরীক্ষা দিয়ে। কিন্তু আংশিক সময়ের এই শিক্ষকরা এসএসসি দিয়ে আসেনি। তবে তা মানতে চায়নি আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যেই বকেয়া দিয়ে দিতে বলেছে।

 

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version