জন্মদিনেও বারাকপুরে অনাদরে বিভূতিভূষণ, পরে তৃণমূল নেতার উদ্যোগে মাল্যদান

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজে হাতে মূর্তি পরিষ্কার করে মালা দেন বারাকপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য শুভ্রকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাকপুরে লালকুঠি ওভারব্রিজের তলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মূর্তি রয়েছে।

সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৭তম জন্মদিন। টুইটারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারাকপুরে তাঁর বসতবাড়ির মতোই অবহেলায় পড়ে মূর্তি। এদিনও প্রশাসনিক তরফে সেটাকে পরিষ্কার করে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কোনও উদ্যোগ দেখা দেয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজে হাতে মূর্তি পরিষ্কার করে মালা দেন বারাকপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শুভ্রকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাকপুরে লালকুঠি ওভারব্রিজের তলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মূর্তি রয়েছে। বারাকপুরের বিধায়ক শিলভদ্র দত্তের বিধায়ক তহবিলের তরফ থেকে সেটি স্থাপন করা হয়। রক্ষণাবক্ষেণের দায়িত্ব বারাকপুর পুরসভার।

কিন্তু অভিযোগ, মূর্তি স্থাপন করেই দায় সেরেছেন সকলে। ধুলোয় অনাদরে ছিল বিভূতিভূষণের মূর্তি। জন্মদিনে ধুলোমাখা মূর্তির দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়নি কারও।বিভূতিভূষণ বারাকপুরে থেকেছিলেন অনেকদিন। তার বাড়ি এখনও আছে বারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে। সেখানে এখনও বাস করেন তাঁর উত্তর প্রজন্মরা। বিভূতিভূষণের পুত্রবধূ বারাকপুরের প্রশাসক কমিটির সদস্য শুভ্রকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। এরপরেই তিনি আশ্বাস দেন, যথাযথভাবে এই কিংবদন্তি সাহিত্যিককে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে ঘটনাস্থলে যান শুভ্রকান্তি। নিজের হাতেই মূর্তি পরিষ্কার করে মাল্যদান করেন। এই ঘটনায় খুশি বিভূতিভূষণের উত্তরসূরীরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একজন স্বনামধন্য সাহিত্যিক যিনি বারাকপুরের বাসিন্দা ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর জন্মদিন পালনে এত উদাসীনতা কেন দেখালো পুরো বোর্ড।

আরও পড়ুন-শোভনকে ল্যাম্পপোস্ট-থাম, অভিনেতা বলে কটাক্ষ করলেন দলের নেতা তথাগত!

Previous articleপ্রাক্তন অফিসারকে মার, একদিনেই জামিন শিবসেনার নেতা-কর্মীদের
Next articleফের সক্রিয় নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের