ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কি ‘আছড়ে পড়ল’? ইউরোপের একাধিক দেশে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। তাই নতুন করে একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের।

গত পাঁচ দিন দৈনিক এক হাজারের উপরে সংক্রমিত হয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রে। রবিবার সংক্রমিত হন ১৫৪১ জন। মার্চ মাসে প্রথম ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ মেলে সেদেশে। দেশের জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লক্ষ। একাধিক বিধিনিষেধ লাগু করে সেই সময় সংক্রমণ অনেকটাই রুখতে পেরেছিল তারা। কিন্তু অগাস্ট মাস থেকে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণের মাত্রা। চেক প্রজাতন্ত্রে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৩৫ জনের। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রেই। সে দেশে এখনো বন্ধ স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ পর্যটনও। এত বিধি নিষেধ সত্ত্বেও সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায়, প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ।


অন্যদিকে, রবিবার ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৮৩ জন। এহেন পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। দেশের হটস্পটগুলিতে সংক্রমণ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। ফ্রান্সে মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অস্ট্রিয়াতেও দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই আবহে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে প্রশাসন। রবিবার ব্রিটেনে নতুন করে সংক্রমিত হন ৩৩৩০ জন। উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক জমায়েত নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে দেশের সরকার।

আরও পড়ুন-কেন নিজেকে চার্চিল আর রুজভেল্টের সঙ্গে তুলনা করলেন ট্রাম্প?

