কলকাতা ও শিলিগুড়িতে লটারির টিকিট নিয়ে জালিয়াতির চক্রের পর্দা ফাঁস করল ভবানীপুর থানার পুলিশ। এ বিষয়ে গত বছর থেকেই তদন্ত শুরু করে তারা। দেখা যায়, কলকাতার ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড এবং শিলিগুড়ির দিব্যজ্যোতি ডিস্ট্রিবিউটরস সংস্থা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। দিব্যজ্যোতি ডিস্ট্রিবিউটরস উত্তরবঙ্গে লটারি টিকিট ডিস্ট্রিবিউশনের সবচেয়ে বড় সংস্থা। তারা এছাড়া উত্তরবঙ্গে লটারি টিকিট বিক্রি করে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অসদুপায় এরা প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট কিনে রাখে। এরপর বেশিরভাগ টিকিটই নিজেদের কাছে রেখে অল্প সংখ্যক টিকেট গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে। ফলে টিকিটের প্রথম এবং বেশি মূল্যের পুরস্কার সংস্থা হস্তগত করে।
এইভাবে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করছে তারা। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে।
বেলেঘাটার শূড়া সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা মানস মৈত্রর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুব্বায়ান নাগরাজান, বিশ্বনাথ রায়, আকাশ চৌরাশিয়া, শান্তিলাল ভিরা, অরুণ প্যাটেল, পান্নালাল চৌরাশিয়া, অনুপ খাসনবিশ, রাজেশ সারোগি, উত্তমকুমার সাহা এবং কপিল শর্মা নামে ফিউচার সলিউশন লিমিটেডের 11জন পার্টনারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারি নয়, নাগাল্যান্ড এবং সিকিম রাজ্য লটারির টিকিট জালিয়াতি চক্রের সঙ্গেও তারা জড়িত।
এদের সঙ্গে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কোনও যোগ আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই দুই সংস্থাকে সামনে রেখে আর কোনও সংস্থা বেআইনিভাবে অর্থ বিনিয়োগ করছে কিনা সেটা জানার জন্য তদন্ত জারি রেখেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত সুতো ছেড়ে রাঘববোয়াল-সহ পুরো চক্রটাকেই একবারে জালে তুলতে চাইছে তারা। তবে, শুধু লটারি টিকিট জালিয়াতি চক্র নয়, এর আড়ালে কোনওভাবে বেআইনি অর্থ লগ্নি হচ্ছে কি না সেদিকটাও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- সরাসরি পাকিস্তানি যোগ! ডার্ক ওয়েবে পারদর্শী মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র ৬ জঙ্গি “লোন উল্ফ”
