লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিলো উত্তরবঙ্গ থেকে৷ একুশের বিধানসভা ভোটের আগে হাতে মাত্র কয়েকমাস৷

তাই উত্তরবঙ্গের ‘ঘর গোছাতে’ পাঁচ জেলার নেতাদের নিয়ে ‘ভোটকুশলী’ প্রশান্ত কিশোর টানা বৈঠক সেরে ফেললেন৷ সূত্রের খবর, শুক্রবার ও শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটে ম্যারাথন এই বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এবং শনিবার দিনে দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলা নিয়ে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বৃহত্তম ধাক্কা সহ্য করতে হয়েছে এই উত্তরবঙ্গ থেকেই৷ উত্তরের ৮টি আসনই বিজেপি দখল করে৷ কার্যত শূন্য হয়ে যায় ঘাসফুল৷


জানা গিয়েছে, দু’দিনের এই গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গে ফের তৃণমূলকে চালকের আসনে বসানোর পথের হদিশ দেন পিকে৷ এত তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গের এই বৈঠক করার একমাত্র কারন ছিলো, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর৷ ওই সফরের আগেই এই সাংগঠনিক বৈঠক করা জরুরি ছিলো৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সফর পিছিয়েছে৷ উনি উত্তরে যাবেন ২৯-৩০ তারিখ৷ তবুও পিকে-র নির্দেশে ডাকা এই বৈঠক ছিলো দলের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ৷ পিকে বৈঠকে বুঝিয়েছেন, লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে দলের শোচনীয় পরাজয়ের নেপথ্যে পাঁচ জেলায় নেতৃত্বের ঐক্যের অভাবই ছিল বড় কারণ। তাই একুশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জমি পুনরুদ্ধারই একমাত্র লক্ষ্য৷ সেকারনেই এবার উত্তরবঙ্গের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণার আগে নেতাদের মতামত নিয়েছেন চাইছেন পিকে৷ বৈঠকে নেতাদের কাছে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্টও চাওয়া হয় । বৈঠকে হাজির থাকা এক নেতা জানিয়েছেন, “লোকসভায ভোটে দলের লোকবল থাকা সত্বেও দল মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। তবে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই শুধরেছে। এই বিষয়েই পাঁচ জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রশান্ত কিশোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি ।
