পরপর ৫ বার কন্যাসন্তান হয়েছে। তাই গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানতে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীর পেট কাটল যুবক। এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে যোগী রাজ্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই মহিলাকে। উত্তরপ্রদেশের বরেলির এই ঘটনায় অভিযুক্ত পান্নালালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনা শনিবার রাতের। ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন ওই নির্যাতিত মহিলা। ওই দম্পতির ৫ কন্যাসন্তান আছে। কিন্তু স্বামী সবসময় পুত্রসন্তান চেয়েছেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাই ষষ্ঠবার অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। তা জানতেই বছর ৩৫-এর পান্নালাল স্ত্রীর পেট কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এর আগেও মহিলার উপর অত্যাচার করেছে পান্নালাল।

স্ত্রীর গর্ভে ছেলে না মেয়ে, ডাক্তারি পথে তা জানা সম্ভব না। কারণ, দেশে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত অপরাধ। নিশ্চিতভাবে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত নৃশংস পদক্ষেপ নেয় পান্নালাল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফালা ফালা করে কেটে ফেলে স্ত্রীয়ের পেট। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে পরপর ৫ বার মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করত ওই যুবক। শনিবার রাতের দিকে রান্নাঘরের মাংস কাটার ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীয়ের উপর। ছুরি দিয়ে একটানে চিরে ফেলে স্ত্রীর পেট। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন ওই মহিলা। রক্তে ভেসে যায় ঘর। মহিলার চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। প্রতিবেশীরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মা ও গর্ভের শিশু দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন : যৌন হেনস্থায় অভিযোগ অনুরাগের বিরুদ্ধে, মুখ খুললেন পরিচালকের প্রাক্তন দুই স্ত্রী
