অন্যদিকে নজর না দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে সমাপ্ত করুন, পাক বিদেশমন্ত্রীকে বিদিশা

রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫ তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কোণঠাসা পাকিস্তান। কড়া জবাব দিল ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তব্যের পরই ক্ষুব্ধ হন বিদিশা। পাক বিদেশমন্ত্রী নিজের ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি বিদিশা মৈত্র পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন। পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘মন গড়া কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার অসমাপ্ত কাজে নজর দিক পাকিস্তান।’’

বিদিশা মৈত্র বলেন, ‘‘পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হিসাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দেয়। সারা বিশ্ব এই তথ্য জানে। সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদেরকে শহিদ হিসাবে অভিহিত করে। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে তার জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করে পাকিস্তান।’’ তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’

কী বলেছিলেন কুরেশি? রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও বার্তায় পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ‘ঘাটতি ও ব্যর্থতা’ নিয়েও কথা বলতে শুরু করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, জম্মু কাশ্মীর ও প্যালেস্তাইন ইস্যু রাষ্ট্রসঙ্ঘের সব থেকে বেশিদিন জিইয়ে রাখা হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিশ্রুতি পালনের দিকে তাকিয়ে আছে। তাঁর অভিযোগ, রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদে আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার দিন শেষ। প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত পালন করা হয় না।

এই কথা শুনেই চটে যান বিদিশা। রাইট টু রিপ্লাইয়ের অধিকার পালন করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতীয় প্রতিনিধি বিদিশা মৈত্র বলেন, ‘‘ভারতের আশা ছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে অন্তত ভিত্তিহীন কথা টেনে আনা হবে না। কিন্তু কোনও মঞ্চকে ভুলভাবে ব্যবহার করা পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দেশের নিজস্ব কোনও মাইলফলক নেই, তাদের কাছ থেকে যুক্তি, কূটনীতি এবং আলোচনার আশা করা ভুল। বদলে এমন স্থূল, অর্থহীন ও মিথ্যে আচরণই আশা করাই শ্রেয়।’’

আরও পড়ুন : বিরোধীরা মেরেই ফেলত হরিবংশকে, এ কী বললেন গিরিরাজ!

Previous articleBig Breaking: স্নাতক-স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে, জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী
Next articleট্যাক্স ফাঁকি, আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প