বিহারের দায়িত্বে ফড়নবিশ, আসন নিয়ে ঝামেলা মেটাতে আসরে

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে নিযুক্ত করল বিজেপি। বিহারের ভূমিপুত্র সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে যখন মহারাষ্ট্র ও বিহার সরকারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তখনই বিজেপি এই ঘোষণা করেছিল। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিজেপি জোটের দলগুলির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করলেন তিনি। বিহারে এবার তিন দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ভোটের দিন ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর। ভোটগণনা হবে ১০ নভেম্বর। বিহারে এনডিএ শরিক জনতা দল (‌ইউনাইটেড)‌ এবং লোক জন শক্তি পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতভেদে চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। এখন এসব সামলাতে হবে মহারাষ্ট্রের নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই। সম্মানজনক আসন বরাদ্দ না হলে এলজেপি শরিক জেডিইউর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তবে বিজেপি নেতাদের দাবি, আসন্ন বৈঠকে এই মতপার্থক্যের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে চাপ বাড়াতে এলজেপি নেতারা বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

জেডিইউ সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে সামনে রেখেই বিহারে ভোটের রণনীতি ঠিক করছে বিজেপি। তবে জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে সমানভাবে আসন ভাগ করার চাপ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতারা। অন্যদিকে, জেডিইউ দাবি করেছে, জোটের অন্য দলের চেয়ে তাদেরই বেশি আসন পাওয়া উচিত। বিজেপির জন্য ১০৫ এবং জেডিইউর জন্য ১১০ টি আসন নিয়ে দরাদরি চলছে বলে জানা গিয়েছে। বাদবাকি আসন থাকবে এইচএএম এবং এলজেপির জন্য।
বিহারে বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে জোটের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। কোন আসনে জোটের কোন দল সবচেয়ে উপযুক্ত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচনকেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

 

Previous article“বাবরি ধ্বংস না হলে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো হত না”- রায়কে স্বাগত জানিয়ে মন্তব্য সঞ্জয়ের
Next articleমাদক কাণ্ডে এবার কি নজরে বলিউড বাদশা!