ভারত – পাক উত্তেজনার মাঝে মহারাষ্ট্রের দেভলালী থেকে গ্রেফতার করা হল এক পাকিস্তানি গুপ্তচর। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর্মি ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলে পাকিস্তানের কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কাছে পাঠাতো সে। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে দেভলালি সেনা ছাউনির ভেতরে একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানেই শ্রমিক সেজে কাজে ঢুকেছিল ওই যুবক। এতদিন কারোর সন্দেহ না হলেও গত কয়েকদিনে তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় বেশ কিছু জওয়ানের। ছেলেটির উপর নজর রাখতে শুরু করেন সেনা জওয়ানরা। এমত অবস্থায় হাতে নাতে পাকড়াও করা হয় তাকে।
পুলিশের অভিযোগ, আর্মি ক্যাম্পের ভিতরে সেনার হাসপাতালে কয়েকটি জায়গার ছবি ও ভিডিও শ্যুট করছিল ছেলেটি। আর্মি ক্যাম্প, একটি হাই সিকিউরিটি জোন হওয়ায় ওই এলাকায় কোনও রকম ছবি তোলা বারণ। সেই জায়গায় ছবি তুলতে দেখেই আটক করা হয় তাকে। তার মোবাইল খতিয়ে দেখার পর সেনার দাবি, কাজ করার উদ্দেশ্যে সে সেনা ছাউনিতে আসেনি।

আরও পড়ুন : রাজভবনে গেলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব-ডিজি, রেগে আগুন ধনকড় সাক্ষাৎ চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর

জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম সঞ্জীব কুমার। সে বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তবে এটি তাঁর ছদ্মনাম কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছে সেনা ও পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরার মুখে সেই ছেলেটি স্বীকার করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পাকিস্তানের কোনো এক ব্যক্তিকে ছবি পাঠাত সে। প্রশ্ন উঠছে, এরকম একটি হাই সিকিউরিটি জোনের ছবি তুলে কেন পাঠাত সে? তবে কি এই এলাকায় কোনও বড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? তবে কি সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত!

প্রসঙ্গত, দেভলালী নাসিক জেলার অন্তর্গত। এখানে কমব্যাট আর্মির স্কুল রয়েছে। এমনকী এভিয়েশন প্রশিক্ষণের স্কুল ছাড়াও সেনার একাধিক ছাউনি রয়েছে। এই এলাকায় এমনিতেই সুরক্ষা ব্যবস্থা আটোসাঁটো থাকে। এই গুপ্তচরবৃত্তির আসল কারণ জানতে, ২১ বছর বয়সী ছেলেটিকে জেরা করছে সেনা ও পুলিশ।
