গুলিবিদ্ধ হয়ে বারাকপুরের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর সেই তথ্য সামনে আসার পরেই বিজেপি মহলে ব্যাপক চাপান-উতোর। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খুনের পিছনে আসল রহস্যের পর্দা উঠতে শুরু করেছে।

বিজেপির একটি মহল থেকেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজেপির এক বিতর্কিত নেতাই নাকি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে। কে এই নেতা? সম্প্রতি তিনি দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। বহু মামলা, তোলাবাজি, টাকা আত্মসাত, খুন, অপহরণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই নেতা আগামী বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিজের মেয়েকে। সেইভাবে গুটি সাজানোর চেষ্টাও করতে থাকেন। কিন্তু যে আসনে মেয়েকে প্রার্থী করতে চাইছিলেন, সেই আসনের অন্যতম দাবিদার মনীশ। বিজেপি মহলেও প্রায় অলিখিতভাবে প্রচার ছিল মনীশ প্রার্থী হচ্ছেনই। বিধানসভা কেন্দ্র নিজের মতো করে সাজাচ্ছিলেন মনীশ। আর সেই বিতর্কিত নেতা বুঝতে পারছিলেন মনীশের এই উদ্যোগে মেয়েকে প্রার্থী করার স্বপ্ন ক্রমশ দূর অস্ত হচ্ছে। তাই পথের কাঁটা সরাতে সবচেয়ে সহজ ও সাঙ্ঘাতিক পথই তিনি বেছে নেন। যে ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন, সেই ঘটনা আগেও বহুবার ঘটিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহল স্বীকার করেছে।
কিন্তু মনীশকে টার্গেট করা হলো কীভাবে? সেই বিতর্কিত নেতার কাছাকাছি থাকতেন মনীশ, ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফলে সেই বিতর্কিত নেতা জানতেন বিগত ৬ দিন ধরে মনীশের দেহরক্ষী ছুটিতে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পথের কাঁটা সরিয়ে দিলেন সেই বিতর্কিত নেতা।

বিজেপি অবশ্য ঘটনার পরেই সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছে, রাজনৈতিকভাবে হেরে গিয়ে খুনের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এটা হলো বিজেপির গায়ে লেগে থাকা কাদা অন্যের গায়ে ছোড়ার আপ্রাণ চেষ্টা। বিজেপির লোকজনই বলছে এটা আসলে বিজেপির মধ্যে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। অনেক দিন ধরেই সমস্যা বাড়ছিল। রবিবার চরম রূপ নেয়। ক্ষমতায় না এসেই এরা প্রার্থী হতে দলীয় নেতাদের খুন করতে দ্বিধা করছে না। ক্ষমতায় দূরের কথা, এদেরকে বাংলার মানুষ ছুড়ে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেবে।

আরও পড়ুন- ফের ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে, প্রয়াগরাজের বিজেপি নেতা হেফাজতে
