১৩৫ কোটির দেশে কত মানুষ পেতে পারেন ভাইরাসের টিকা? জানাচ্ছেন হর্ষ বর্ধন

দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গোটা বিশ্ববাসী এখন করোনা প্রতিষেধকের অপেক্ষায়। তবে ভারতে কবে আসবে করোনার টিকা তা নিয়ে রবিবার জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আর তা দেশের কত মানুষ পেতে পারেন তাও এদিন জানালেন তিনি।

২০১৮-র তথ্য অনুযায়ী ১৩৫ কোটির দেশ ভারত। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১ -এর জুলাইয়ের মধ্যে দেশের হাতে আসবে করোনা টিকার ৪০-৫০ কোটি ডোজ। আর তাতে টিকা দেওয়া যাবে ২০-২৫ কোটি মানুষকে।” প্রথমে কারা এই টিকা পেতে পারেন সেই তালিকা প্রসঙ্গে বলেন হর্ষ বর্ধন। জানান, “এই তালিকায় থাকবেন চিকিৎসক, নার্স, স্যানিটারি স্টাফ, আশা কর্মী ও করোনা নিয়ন্ত্রণে জড়িত কর্মীরা। অক্টোবরের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে রাজ্যগুলিকে তাদের তালিকা জমা করতে বলা হয়েছে।”

করোনার বিরুদ্ধে মানবদেহে ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে কিনা তা নজর রাখার জন্য তৈরি হয়েছে একটি কমিটি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের মধ্যে কিভাবে করোনার বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে উঠছে তা নজর রাখার জন্য তৈরি হয়েছে একটি কমিটি। এই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগ এর সদস্য ভি কে পল।”

অন্যদিকে কোভিড- কে নির্মূল করতে অ্যান্টিসেরাম ব্যবহার করার কথা জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। যেমন টিটেনাস মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। আথবা সাপে কামড়ানো রোগীকে ‘অ্যান্টিস্নেক ভেনম’ দেওয়া হয়। ঠিক তেমনই আগে থেকে তৈরি করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আক্রান্ত মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে রোগকে প্রতিহত করার কথা।

আরও পড়ুন-নতুন ফরেনসিক দল গঠন করা হোক, CBI-এর কাছে আর্জি সুশান্তের পরিবারের

Previous articleনতুন ফরেনসিক দল গঠন করা হোক, CBI-এর কাছে আর্জি সুশান্তের পরিবারের
Next articleমহাকাশ কেন্দ্রে বসেই এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ মার্কিন নাগরিকদের