খুন হওয়া বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লা টিটাগড় থানায় FIR করলেন৷ এই FIR প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের ধারনা, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে এনেই FIR করেছেন চন্দ্রমনি শুক্ল। এই FIR-এ মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতাকেই নিশানা করা হয়েছে৷ লিখিত অভিযোগে চন্দ্রমনি শুক্ল জানিয়েছেন, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরি, বারাকপুর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস তাঁর ছেলের খুনের মূল চক্রান্তকারী৷ মণীশের বাবা জানিয়েছেন, উত্তম দাস এবং প্রশান্ত চৌধুরি, এই দু’জন, মহম্মদ খুররম খান, রঞ্জিৎ পাল ওরফে রুনু, বাঁটুল, আরমান মণ্ডল, ভোলা প্রসাদ-এর মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের জড়ো করে তাঁর ছেলেকে খুন করিয়েছে। চন্দ্রমনিবাবুর অভিযোগ, গোটা পরিকল্পনায় জড়িত আছেন টিটাগড় এলাকার অন্য দুই তৃণমূল নেতাও৷ তাঁরা হলেন রাজেন্দ্র যাদব এবং নাজির খান৷ মনীশ-খুনের FIR-এ তাঁর নাম আছে জানার পর প্রশান্ত চৌধুরি বলেছেন,”শুনেছি আমার বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। দলের নির্দেশের অপেক্ষা করছি। দলের নির্দেশ পেলে আদালতে জামিনের আবেদন জানাবো।”
টিটাগড় থানা এই FIR-এ নাম থাকা ব্যক্তিদের এবং অজ্ঞাতপরিচয় কিছু জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ বা খুন, ৩৪ বা একসঙ্গে অপরাধ করা এবং ১২০ বি অর্থাৎ ষড়যন্ত্র-করার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করেছে। নিহত মণীশের বাবা চন্দ্রমণিবাবু রাজনৈতিক স্বার্থেই শাসক দলের নেতারা তাঁর ছেলেকে খুন করেছে বলে অভিযোগ আনলেও মঙ্গলবার সকালেও তদন্তকারীদের বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই খুন করা হয়েছে মণীশকে। এখনও পর্যন্ত এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণের খোঁজ মেলেনি৷ FIR-এ নাম থাকা তৃণমূলের দুই বিদায়ী পুরপ্রধান এবং স্থানীয় নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি পুলিশ কর্তারা।
ওদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটি অংশের দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ের রাস্তা সাফ করতেই পরিকল্পনা করে মণীশকে খুন করিয়েছে শাসক দলের নেতারা।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে বড়সড় যোগদান! এবার কোথায়?