ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত শিক্ষাবিদ তথা বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দিন দশেক আগে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।

বছর কয়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন স্ত্রী। একমাত্র মেয়ে থাকেন আমেরিকায়। কলকাতায় একাই থাকতেন আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হলো না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন মৃত্যু হয় তাঁর। সমুদ্রবিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সাক্ষরতা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এই শিক্ষাবিদ বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। শুধু রাজ্যে নয়, রাজ্যের বাইরেও তাঁর প্রভাব ছিল। ২০১২ সালে ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকার পুরী বিচের দূষণ ঠেকানোর জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছিল। তাতেও অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিক্ষা মহলে। আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোক বার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০০৬ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অবসর নেন আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়। শিক্ষামহলের মতে, শিক্ষা -সাক্ষরতা -জনবিজ্ঞান আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। প্রাক্তন অধ্যাপকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অধ্যাপক আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রতিবাদী বিজ্ঞানীর মৃত্যু সমাজের পক্ষে ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। প্রয়াত শিক্ষাবিদ তথা বিজ্ঞানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সংগঠন।

আরও পড়ুন:স্কুলে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্যের ২৭ পড়ুয়া!