৩৪ দিনের মাথায় আনন্দপুরকাণ্ডে চার্জশিট পেশ পুলিশের

৩৪ দিনের মাথায় আনন্দপুরকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। শুক্রবার আলিপুর আদালতে ৯০ পাতার চার্জশিট জমা দেবে আনন্দপুর থানার পুলিশ। চার্জশিটে নাম রয়েছে মূল অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডের। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই যে তরুণীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল, তার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর রুবি হাসপাতালে পিছন দিকের রাস্তায় এক তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে মারধর করে, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অবস্থায় ওই তরুণীকে বাঁচাতে আসেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। অভিযোগ, তরুণীকে উদ্ধার করতে এলে উল্টে নীলাঞ্জনা দেবীকেই ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত অভিষেক। নীলাঞ্জনার পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। তার পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : দুর্গাপূজা সমারোহের বিপদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালো ডাক্তারদের জয়েন্ট প্লাটফর্ম

ঘটনায় নীলাঞ্জনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যদিও নীলাঞ্জনা যার জন্য এত করলেন সেই তরুণী পরবর্তীকালে অভিযুক্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে অভিযুক্তের নাম ভুল বললেও পরে তার আসল নাম বলতে বাধ্য হয় তরুণী। শুধু তাই নয়, জানা যায় যে অভিযুক্ত এবং ওই তরুণী পরস্পরের পরিচিত ছিল এবং কিছুদিন বাদে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, পুলিশকে তরুণী জানায়, ওই রাতে তাদের দুজনের মধ্যে কোন কারণে কথা-কাটাকাটি হয় এবং সেই কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল।

ইতিমধ্যে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় এবং ওই তরুণীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ধারাগুলিতে মামলা রুজু হয়েছে যেমন অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা, মারধর, শ্লীলতাহানি এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, এই প্রত্যেকটা ধারারই উল্লেখ আছে চার্জশিটে।

এদিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিনই অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডেকে আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে। এদিনই তার জামিনের আবেদন করা হতে পারে আদালতে। সেক্ষেত্রে তদন্তের অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে জামিনের বিরোধিতা করবেন আইনজীবীরা। এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। এই মামলার যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সেই জন্য যথেষ্টই তৎপর পুলিশ প্রশাসন।