Tuesday, November 4, 2025

দুঃসময়ে চেতলা অগ্রণীতে মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বজননীর চক্ষুদান করলেন বঙ্গজননী

Date:

এখনও দুর্গাপুজোর বাকি বেশ কিছুদিন। তার আগে আজই এ বাংলায় উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ল। এ দিন ”চেতলা অগ্রণী”র দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “চেতলা অগ্রণী”র দুর্গাপুজো রাজ্যের মন্ত্রী ”ফিরহাদ হাকিমের পুজো” নামেই পরিচিত। সেখানে প্রত্যেকবারের মতো এবারও প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দলীয় মুখপত্র “জাগো বাংলা”র শারদ সংখ্যার উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে। বাঁ হাতে রঙের প্যালেট নিয়ে ডান হাতে তুলি ধরলেন। তারপর আঁকলেন বিশ্বজননীর ত্রিনয়ন। পরে মঞ্চ থেকে নেমে এসে মণ্ডপটা একটু ঘুরে দেখলেন। কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম ও পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। করোনা আবহে সেখানে খুব বেশি সময় এবার কাটাননি মুখ্যমন্ত্রী।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই চলে এসেছে বাঙালির মহোৎসব। এই আবহে চেতলা অগ্রণীর জাঁকজমক এবার অন্যান্যবারের থেকে কিছুটা হলেও কম। তবে জৌলুস কম হলেও, আবেগ-উন্মাদনা আগের মতোই। করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এবার চেতলা অগ্রণীর পুজোর থিমও সাজানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে “দুঃসময়”। পুজো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বাঁশের বিশেষ কারুকার্যে। সবমিলিয়ে মণ্ডপটিকে পুরনো বাড়ির ভগ্নাবশেষের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুজোর সব প্রস্তুতিই সারা হয়ে গিয়েছে। বাঁধা হয়েছে প্রতিমার সামনে অস্থায়ী মঞ্চও। তার উপরে দাঁড়িয়েই প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

২০২০ সালের দুর্গাপুজোর তিথি বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, বুধবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর ষষ্ঠী। কিন্তু তার প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চক্ষুদান হয়ে গেলেও এ দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হচ্ছে না।

চেতলা অগ্রণী পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে সকলের প্রবেশের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে অন্যান্য বিধি পালনেও।

পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে অন্যতম এই দুর্গাপুজো। যা এখন জাতীয় উৎসব। আর বাঙালির দুর্গাপুজো ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে অপরের পরিপূরক। দুর্গা যেমন মানুষের হৃদয়ে আছেন ঠিক একইভাবে বাংলার জনগণের হৃদয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর এই আবেগ অনুভূতি ভিন রাজ্য থেকে আসা বিজেপির নেতারা উপলব্ধি করতে পারবেন না।”

একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান, এবার অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে উৎসব পালিত হবে। কোভিড সংক্রান্ত সবকিছু সরকারি নির্দেশিকা মেনেই পুজো হবে। মন্ডপের চারপাশ খোলা রাখা হবে। যাতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন-“করোনা-ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া-বিজেপি, এমন মহামারি দেখিনি”! জাগো বাংলার অনুষ্ঠানে তোপ মমতার

Related articles

খুব তাড়াতাড়ি আসবেন কলকাতায়, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার উত্তরে জানান শাহরুখ

রবিবার শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিন ছিল। এদিন শাহরুখকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শুভেচ্ছার এবার উত্তর...

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের নামও বাদ! এসআইআরকে ঘিরে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

এসআইআর প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার করে ভোটার তালিকা থেকে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে— এমন অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী...

Push-up-এ বাজিমাৎ! মঞ্চে সবাইকে হারালেন অভিষেক

তাঁর জিমি ওয়াক আউট করার ছবি আগেই পোস্ট করেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abishek Banerjee)।...

এসআইআর মঞ্চে ‘শহিদ বরণ’: সাত শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতা-অভিষেকের

বাংলা বিরোধী বিজেপির চক্রান্তে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের। সেই আতঙ্কে এখনও পর্যন্ত...
Exit mobile version