Thursday, December 18, 2025

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ভাঙতে হবে মিঠুনের নীলগিরির রিসর্ট

Date:

Share post:

জঙ্গলের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলছিল রিসর্টগুলি। সমস্যায় পড়েছিল হাতির দল। যার জেরেই আদালতে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল ভেঙে ফেলতে হবে নীলগিরি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় থাকা রিসর্টগুলি। ওই এলাকায় যেসমস্ত নামী সেলিব্রিটির রিসর্ট রয়েছে তাদের মধ্যে আছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। বুধবার এলিফ্যান্ট করিডোরের খুব কাছে থাকা এই সমস্ত রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

তামিলনাড়ুর নীলগিরির পাহাড়ি অঞ্চলে মাদুমলাই ফরেস্টের সুরক্ষিত জায়গায় আইনি বিধি মেনেই রিসর্ট তৈরি করেছিলেন একাধিক সেলিব্রেটি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ যে তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। কিন্তু ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকেই হাতিদের যাতায়াতের পথ৷ ফলস্বরূপ এলাকায় জনবসতির কারণে প্রভাব পড়ে অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রে৷ রিসর্ট তৈরি হওয়ার পর মানুষের যাতায়াত বেড়েছে ওই সমস্ত জায়গায়। স্বাভাবিকভাবেই পথ পরিবর্তন হয়েছে হাতিদের। যার জেরে জঙ্গলের স্বাভাবিকতা প্রভাবিত হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে মামলা দায়ের হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালতের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই অঞ্চলে থাকা সমস্ত রিসর্ট ও হোটেল ভেঙে ফেলতে হবে অবিলম্বে। এই রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। বুধবার সেখানেও একই রায় দেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি।

আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের রাজ্যকে খোঁচা ধনকড়ের, পাল্টা জবাব তৃণমূলের

জানা গিয়েছে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৩২ টি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। যেখানে ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর আবেদনও। নিজের আবেদনে মিঠুন জানান তার ওই রিসর্টকে কেন্দ্র করে বহু আদিবাসী মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন ওই এলাকায়। এগুলি ভেঙে ফেলা হলে তারা রোজগার বিহীন হয়ে পড়বেন। এর পাশাপাশি মানুষের জনসমাগমের জন্য ওই সমস্ত এলাকার হাতিরা চোরাশিকারির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও সমস্ত দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে আদালতে তরফে জানানো হয়, হাতিরা অত্যন্ত ভদ্র প্রাণী তাই মানুষেরও ভদ্রতা স্বরূপ তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ওই অঞ্চল কে এলিফ্যান্ট করিডোর বাঁ-হাতি চলাচলের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত করে তামিলনাড়ু সরকার। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আদিবাসীদের বাড়িছাড়া এলাকার ৮২১ টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...