কৃষ্ণাকে মাথায় রেখেই বিধাননগর পুরসভা পরিচালনায় প্রশাসকমণ্ডলী

মেয়াদ শেষে। বৃহস্পতিবার থেকে বিধাননগর পুরসভা পরিচালনায় প্রশাসকমণ্ডলী। বুধবারই রাজ্য সরকার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে, প্রশাসকমণ্ডলীতে কোনও চমক নেই। চেয়ারপার্সন করা হয়েছে বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেই। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়-সহ পুরনো বোর্ডের অন্য মেয়র পারিষেদরা।

বৃহস্পতিবার থেকেই প্রশাসকমণ্ডলীর অধীনে পুরসভার কাজকর্ম শুরু হয়েছে। বাসিন্দাদের মতে, পুরনো বোর্ডের আমলে বেশ কিছু প্রকল্প হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মতো সব কাজ হয়নি। তবে, পুরসভার দাবি, পাঁচ বছরের মেয়াদকালে পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি, জঞ্জাল সাফাইয়ের উন্নত পরিকাঠামো গঠন-সহ একাধিক প্রকল্পের কাজ হয়েছে। যদিও রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দাদের একাংশ উন্নয়নের বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন।

উন্নয়নের প্রসঙ্গে বর্তমান বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। তাঁর অভিযোগ, বিধাননগরের উন্নয়ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পুর এলাকায় ঘুরলে বোঝা যাবে উন্নয়নের প্রকৃত অবস্থা। সেই অভিযোগ খারিজ করে বিধাননগরের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, যদি উন্নয়ন না হয়ে থাকে, তা হলে প্রাক্তন মেয়র হিসেবে সব্যসাচী দায় এড়াতে পারেন না।

বিরোধীদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে পরিষেবার হাল খারাপ হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে শাসক দলের দাবি, দীর্ঘদিনের জল জমার সমস্যা, পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাকে মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, যে ভাবে এত দিন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল, নতুন ব্যবস্থায় সে ভাবেই কাজ হবে।

Previous articleদর্শকবিহীন পুজোর বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে চিকিৎসক কুণাল সরকার
Next articleকরোনায় সংকটে তারাও, দাবি-দাওয়া পুরণে রাজপথে গৃহ-সহায়িকারা