চরম ব্যর্থতা একেই বলে। উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুদিন আগে যখন দার্জিলিঙে বসে বৈঠক করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীরা, তার পরই এনডিএ ত্যাগের ঘোষণা করলেন পাহাড়ের অবিসংবাদী নেতা বিমল গুরুং। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই লড়তে চান। বিজেপির তথাকথিত চাণক্য মুকুল রায় যখন হম্বিতম্বি করে বোঝাচ্ছেন বাংলায় বিজেপির ক্ষমতা দখল প্রায় হয়েই গিয়েছে, তখন মুকুলের পুরনো দল তৃণমূল পঞ্চমীতে গুরুং- ধামাকা দিয়ে বিজেপিকে যে পুজো উপহার দিল তা সামলাতে বেগ পেতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এনডিএ-ত্যাগী বিমল গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তন যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মত জেলাগুলোয় তৃণমূলকে আগামী ভোটে বিরাট সুবিধা দিতে পারে তা বোঝার জন্য কারুরই ‘চাণক্য’ হওয়ার দরকার নেই। মোদ্দা কথা, এযাত্রা তৃণমূলের চাল সামলাতে নাড্ডার দলকে আবার নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে হবে। তৃণমূল ভাঙাতে পারলেই বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দিল্লির সামনে যে ভুল ধারণার গাজর ঝুলিয়ে রেখেছেন মুকুল, কৈলাসের মত নেতারা, তা স্পষ্ট হবে নাড্ডাদের কাছেও।

১২৮ টি মামলা মাথায় নিয়ে বিমল গুরুং যেভাবে পঞ্চমীর বিকেলে কলকাতা দাপিয়ে বেড়ালেন এবং তাঁর মত এক ‘ফেরার’ অভিযুক্তকে যেভাবে দেখেও দেখল না পুলিশ, তাতে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার প্রশ্ন উঠলেও ভোটের আগে তৃণমূল যেভাবে এক এনডিএ শরিককে ছিনিয়ে নিল, তাতে রাজনৈতিক দানে বিজেপিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল মমতা ব্যানার্জির দল।


আরও পড়ুন- ছত্রধরের মতো গুরুংয়েরও সাত খুন মাফ হবে, বললেন ঈষৎ অসন্তুষ্ট দিলীপ
