মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া শাড়ি পড়েই অঞ্জলি দেবেন ঐন্দ্রিলা

- ঐন্দ্রিলা সেন, অভিনেত্রী

পুজোয় কোনওবারই তেমন প্ল্যান থাকেনা। কলকাতায় ভিড় ঠেলে প্যান্ডেল হপিং করতে বেরোই না। অবশ্য এবছর বেরোবো কি, কেনাকাটি তো করিনি। তবে প্রতিবছরই খুব সুন্দর সুন্দর শাড়ি দেন দিদি। এবছরও আমাকে দিদি একটা খুব সুন্দর শাড়ি দিয়েছেন। আরেকটা শাড়ি দিয়েছেন সুজিতদা। ওনাদের দৌলতেই আমার দুটো নতুন শাড়ি হয়েছে। যদি কোনওদিন বেরোই ওইগুলো পড়েই বেরোবো। আমার এক আত্মীয় আমায় সুন্দর ইন্দো-ওয়েস্টার্ন একটা জাম্পস্যুট দিয়েছে, ওটা খুবই সুন্দর। মাকে উনি একটা শাড়িও দিয়েছেন। সাজগোজ সাধারণত করি না। ছিমছাম ফ্রেস লুকটাই আমার ভালো লাগে।

তবে হ্যাঁ, প্রচুর মাস্ক কিনেছি, (হাসতে হাসতে হ্যাঁ, সত্যি) সব জামার সঙ্গে ম্যাচিং করে। ধরো একটা অ্যানিম্যাল প্রিন্টেড জামা, তো ওটার সঙ্গে ওইরকমই মাস্ক। আবার ফ্লোরাল মাস্ক, একটু চিকচিকে টাইপের মাস্ক, কিছু এক রঙের মাস্ক। আমার ভাই আমায় একটা মাস্ক দিয়েছে, সেটা আবার অন্ধকারে জ্বলে (হাসতে হাসতে)।

আরও পড়ুন : পঞ্চমীতে খুলল রাজ্যের সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সগুলি, একনজরে দেখে নিন ছবির তালিকা

অন্যান্য বছর যেটা হয়, পুজো পরিক্রমায় প্রায় সব বড় ঠাকুরই দেখা হয়ে যায়। ওটা খুব ভালো লাগে। তারপর, ববি দা, সুজিত দা বা অরূপ দার পুজো মণ্ডপে একটু হয়তো গেলাম। একটু খাওয়া দাওয়া, আড্ডা হয়। ওই পর্যন্তই। আর তাছাড়া, আমরা ওইভাবে তো বের হতে পারি না। তবে আমরা অরাজকতা করলে, বাকিরা আমাদের দেখে শিখবে। তবে এবার যাব কীনা ঠিক নেই।

তাছাড়া, মাসির বাড়িতে যাই, নিমন্ত্রণ থাকে। এবার যেটা করেছি, ওদেরকেই নিয়ে চলে এসেছি আমাদের বাড়িতে। আমার বোন, দিদা, মাসি মেসো, দাদা সবাই আমার কাছেই আছে। আমরা ভেবে রেখেছি সবাই একদিন কোনও ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে যাব। অবশ্যই রিজার্ভেশন করে যাব। সমস্ত রকম সুরক্ষা নিয়ে তবেই বেরোব। কারণ সঙ্গে বয়স্ক মানুষরা থাকবেন। কিন্তু সেই প্ল্যানও যে কতটা কার্যকর হবে, ভগবান জানে। (হাসতে হাসতে) সবাই যা ল্যাদখোর।

আরও পড়ুন : ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কাটবে প্যানডেমিকের পুজো

আর.. কোনওদিন অঙ্কুশরা হয়ত আমাদের বাড়িতে এল, আমরাও একদিন গেলাম। বন্ধুরা আসবে একদিন। এভাবেই আনন্দ করব। আর একদিন ইচ্ছে আছে, যদি পারমিশন পাই, গাড়ি নিয়ে বেরোব। কলকাতার পুজোর সাজ দেখব। তবে গাড়ি থেকে একফোঁটাও নামব না। এটা আপাতত প্ল্যানিং। কতটা সাকসেসফুল হবে জানিনা।

এই তো কয়েকদিন আগে আমি আর অঙ্কুশ গিয়েছিলাম শ্রীভূমিতে। ওখানকার থিম সংটা এবার আমরা করেছি। খুব কম সময়ে কম লোকজন নিয়ে শ্যুট হয়েছে। সেই থিম সংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই গিয়েছিলাম দ্বিতীয়ার রাতে। তখন থেকেই কী ভিড় ঠাকুর দেখার! তবে একটা বিষয় খুব ভালো লাগল, সবার মুখেই মাস্ক ছিল। তবে হ্যাঁ, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং একেবারেই ছিল না। থাকবেই বা কীকরে। অত হাজার হাজার লোক।

আরও পড়ুন : দু’বছর পর ফের সিনেমায় শাহরুখ, নভেম্বরে দীপিকার সঙ্গে ‘পাঠান’-এর শুটিং

একটাই কথা বলব, মানুষ নিজে যদি সচেতন না হয়, তবে প্রশাসনের পক্ষেও কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ কত আটকাবে? শ্রীভূমির অনুষ্ঠানে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এসেছিলেন। সত্যি ওনাদের দেখলে খারাপ লাগে। আমরা যাতে সুস্থ থাকি, তাই ওনারা দিনরাত ভুলে রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করেছেন। শুধু পুলিশই নয়, চিকিৎসকরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। ওনাদের কথা ভেবে যদি একটু নিয়ম মানা যায়, তবে ক্ষতি কি একটা বছরই তো। আমার মনে হয় হাইকোর্টের নির্দেশ সবাই মানবে।