হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি রাষ্ট্রপতির দেওয়া পদ্মশ্রীর প্রতীকী পদকও। বুলা চৌধুরীর কথাতেই স্পষ্ট, পদ্মশ্রী ফিরে পাওয়া শুধু তাঁর ব্যক্তিগত স্বস্তি নয়, বরং দেশের সম্মান রক্ষা। তিনি আরও বলেন, একটা পদক জিততে কতটা শ্রম, ঘাম, কষ্ট লেগেছে সেটা আমি জানি। কিন্তু পুলিশও যেভাবে এই পদক উদ্ধার করেছে, তাদেরও পদক প্রাপ্য। দেশের জন্য যেমন আমি সাঁতার কেটেছি, ওরাও দেশের সেবায় কাজ করছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল পুরস্কার আজও খুঁজে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা CBI। তার তুলনায় রাজ্য পুলিশের এই দ্রুত সাফল্য নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাষ্ট রাতে হিন্দমোটরের বাড়িতে চুরির ঘটনায় বুলা চৌধুরী ভীষণভাবে ব্যথিত হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই পদক তাঁর ব্যক্তিগত গর্ব নয়, বরং দেশের জন্য পাওয়া সম্মান। তাই পদ্মশ্রী চুরি হয়ে যাওয়া তাঁর কাছে এক বড় ধাক্কা ছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই গ্রেফতার করে সেখ সামিম নামে এক যুবককে, যার কাছ থেকে পাওয়া যায় কয়েকশো পদক। পরে আরও দু’জনকে পাকড়াও করা হয়। মোট ৩০৮টি পদক উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার মধ্যে আছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাওয়া একাধিক স্বীকৃতি। বিশেষভাবে উদ্ধার হয়েছে পদ্মশ্রীর প্রতীকী পদক।
বুধবার শ্রীরামপুরে ডিসিপি অফিসে দাঁড়িয়ে নিজের সেই পদক ফের হাতে পান বুলা চৌধুরী। পদক পরে তাঁর চোখে মুখে ফুটে ওঠে স্বস্তির ছাপ। তিনি বলেন, ছয় বছর বয়স থেকে সাঁতার কেটেছি, সাত সমুদ্র পার করেছি, দেশকে অসংখ্য পদক দিয়েছি। জীবনের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছি অর্জুন ও পদ্মশ্রী। সেই পদক যখন চুরি হল, মনে হয়েছিল নিজেরই একটা অংশ হারিয়ে ফেলেছি। তবে রাজ্য পুলিশ যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেটা উদ্ধার করেছে, তাদের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন- মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল
_
_
_
_
_
_
_