দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের সূচনা হয় ভোরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে, এরপর ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে একের পর এক ভক্তিমূলক কর্মসূচিতে মেতে ওঠেন উপস্থিত ভক্তরা।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক রাসলীলা প্রত্যক্ষ করার আশায় সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে মন্দির প্রাঙ্গণে। দুপুর নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক। সেখানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রের পবিত্র জল। এরপর নতুন পোশাকে সজ্জিত করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হয় বিশেষ ‘৫৬ ভোগ’, যেখানে বাংলার নানা ঐতিহ্যবাহী পদ স্থান পেয়েছে।
সারাদিন ধরে কীর্তন, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও ধর্মীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ভরে ওঠে গোটা জগন্নাথ ধাম। সন্ধ্যা নামতেই আলোকসজ্জায় ঝলমল করে ওঠে মন্দির চত্বর। ফুল, মালা ও প্রদীপে সেজে ওঠে দেবদেবীর মূর্তি ও গোটা প্রাঙ্গণ। গোধূলি বেলায় হাজারো প্রদীপ জ্বালিয়ে তৈরি হয় এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ।
রাস উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় তিনটি রথ, যেগুলি মাসির বাড়িতে স্থাপন করা হয়। সেখানেই পালিত হয় রাস উৎসবের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান। দিঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস বলেন, “এই প্রথমবার জগন্নাথ ধামে রাস উৎসব পালিত হল। সকাল থেকে নানা ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন ভক্তরা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে।” প্রথমবারেই এমন আয়োজনে দিঘার জগন্নাথ ধাম যেন ভক্তির তরঙ্গে ভেসে উঠেছে।
আরও পড়ুন – বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে
_
_
_
_
_
_
