মহামারি তো অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে, তাই ইচ্ছা না থাকলেও এ বছর মানিয়ে নিতে হবে দুর্গাপুজোর পরিবর্তন। পুজোর প্ল্যান বলতে প্রতিবছর যে সাজগোজের উন্মাদনা থাকে, এবছর ফিকে হয়ে গিয়েছে। পুজোর মধ্যে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আছে, ঠিক করেছি ওই দিন লাল পাড় সাদা শাড়ি পরব। পুজোর সাজ বলতে এবার ওইটুকুই।

তবে পুজো শুরু হচ্ছে আমার নিজের একটি ট্রাস্টের কাজ দিয়ে। বোলপুরে আমার যে বাউল বন্ধুরা আছেন তাঁদের জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা আছে। যতটুকু সম্ভব তাঁদের পাশে দাঁড়াবো। কারণ এই পরিস্থিতিতে তাঁদের রোজগার বলতে কিছুই নেই।


সপ্তমী এবং অষ্টমীতে বাড়িতে সময় কাটাবো। পুজো উপলক্ষে ঘরের সাজসজ্জা কিছুটা পাল্টেছি। এই দুদিন বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র সিনেমা দেখার জন্য। সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই।

তবে এই মহামারির মধ্যেও ভালো খবর পুজোর মধ্যে অনুষ্ঠান করতে পারব। নবমীতে ‘উড়ান ‘ এর একটি অনুষ্ঠান আছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠান হবে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটা থেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার হবে। পুজোতে যা সাজগোজ করার ওইদিনই করব। পছন্দের শাড়িও বেছে রেখেছি।


দশমীতে বাড়িতেই থাকবে। কারণ রাস্তায় বেরোনো আড্ডা বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত হবে না। এবছর সিঁদুর খেলাও হবে না। ফোনে ফোনেই শুভ বিজয়া জানাতে হবে।

আরও পড়ুন:পাড়ায় পাড়ায়: রামমোহন সম্মিলনীতে এবার সাবেক বাংলা
