লন্ডনের ইলফোর্ডে পুজো হবে বিধি মেনে, ডিজিটাল প্লাটফর্মে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সুমনা আদক, লন্ডন

শিউলি ঝরা মহালয়ার ভোরে, শিশির ভেজা শারদ প্রকৃতিতে বীরেন্দ্র ভদ্রের উচ্চাঙ্গ কণ্ঠস্বর শুনে মনে হয় “মা আসছেন “। দেখতে দেখতে সময়ের মুহূর্তগুলো তখন ডুব দেয় শারদ আনন্দে, দিনে দিনে শারদীয়ার রেশটা বঙ্গদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় প্রবাসে। এতদিন এভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০২০ স্বদেশের পাশাপাশি লন্ডনেও শারদোৎসবের হুজুগটা অনেক কম। একে একে ক্রিমব্ৰিজ, কার্ডরিফ, বার্মিংহ্যাম, গ্লাসগোর পুজো বন্ধের খবর। এমন বিষন্ন সময়ে দাঁড়িয়েও লন্ডনের শারদীয়ার রেশটা প্রায় দশটা বছর ধরে রেখেছে ‘সর্বজনীন বাবা লোকনাথ অ্যাসোসিয়েশন’। এবছর লন্ডনের ইলফোর্ডের রেডব্রিজ পাঞ্জাবি সেন্টারে বাবা লোকনাথ অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে এসেছে তাদের ‘উমাকে’। এতো সঙ্কটকালেও যাবতীয় সরকারি নির্দেশ মেনে পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠীর সকালে মায়ের বোধন শুরু হবে এখানে। তারপর সপ্তমী পুজো হলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধিপূজা কুমারী হয়ে, অবশেষে মায়ের বিদায়বেলা। পুজো উদ্যোক্তারা এবছরের নিয়ম নিষ্ঠা সবই থাকবে আগের মতো তবে সরকারি নির্দেশানুসারে মণ্ডপে জনসমাবেশের দিকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে, মাস্ক, স্যানিটাইজার হবে বাধ্যতামূলক।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ব্রাত্য নয় এবারের পুজোতে। তবে এবারে সবই হবে ডিজিটালে। ঘরে বসেই নিজের মতো পারফরমেন্স করে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবে সবাই।

পুজোকমিটির প্রেসিডেন্ট জানান, “আমাদের পুজোর প্রাঙ্গনটা মনে করায় স্বদেশের কথা। সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানা এবছরটা অন্যরকম হলেও মায়ের আশীর্বাদে আমরা চেষ্টা করব সবকিছু ভালোভাবে সমাপ্ত করার।”

প্রতিবছরই এখানকার পুজোর প্রাঙ্গনটা মনে করাত একটুকরো বাংলার কথা- যেখানে আচার অনুষ্ঠান থেকে প্রসাদবিতরণী হয়ে পাত পেরে বাঙালি খাবারে স্বাদ পাওয়া, যেন সাবেকিয়ানায় মোড়া।

২০২০তে মায়ের কাছে সবার একটাই প্রার্থনা এমন অতিমারি থেকে মুক্তি। মন খারাপে সময়ে তবুও সবার মনে একটাই আশার বাণী, “এবারটা যাই হোক, আসছে বছর আবার হবে”।

আরও পড়ুন-একদিনেই পাঁচদিনের পুজো, মন খারাপ পিটারবোরোর

Previous articleআটক চিনা সেনাকে ফিরিয়ে দিয়ে কথা রাখল ভারত
Next articleভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কাটবে প্যানডেমিকের পুজো