বিজেপি যে উন্নতি করেছে, তাতে হিংসে করছে বিরোধীরা। বিহার থাকবে এনডিএ-র হাতেই। বিহারে প্রাক নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে বিরোধীদের কড়া ভাষায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন রাজ্য এবং জাতীয় একাধিক বিষয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

করোনাকালেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ২৮ অক্টোবর থেকে তিন দফায় বিহারে ভোট গ্রহণ। তার আগেই বিহারে ভোট প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের এক হাত নিলেন মোদি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘৩৭০ ধারা বিলোপ করা কেন্দ্রীয় সরকারের বড় সাফল্য। সারা দেশ অপেক্ষা করছিল কবে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের এই কাজের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এখন বিরোধীরা বলছে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হবে। এদের সাহস দেখুন, এই কথা বলে বিহারের জনগণের থেকে ভোট চাইছে।’’ তাঁর সাফ কথা দেশের মানুষের মানুষের স্বার্থে সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবে না।

অধিকাংশ প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা এনডিএ-র জয়ের কথা বলছে নিজের বক্তব্যে সে কথা তুলে ধরেছেন মোদি। তবে শুধু ৩৭০ ধারাই নয়, কৃষি বিল নিয়েই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মোদি। এদিন বিহারে তিনি বলেন, ‘‘মধ্যসত্ত্বভোগীদের স্বার্থেই কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। বিরোধীদের আচরণ দালালের মতো। সংশ্লিষ্ট অংশের মানুষের হয়েই কথা বলছে তারা। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ যে দালালদের হয়ে কথা বলে বিরোধীরা। রাফালেও এরা দালালদের পক্ষে ছিল। এখন চাষীদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে সেখানেও বিরোধীরা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।

আরজেডির নির্বাচন প্রতীক লণ্ঠনের প্রতি এদিন বিদ্রুপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘প্রদীপের আলোর সময় এখন আর নেই। এখন বিদ্যুতের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। আমি আশা করি রাজ্যকে যে দল অসুস্থ করেছে, মানুষ তাদের আর সুযোগ দেবে না।’’ পাশাপাশি এদিন নির্বাচনী প্রচারে মোদি মনে করিয়ে দেন, সার্বিকভাবে উন্নতির ক্ষেত্রে আরও এগোতে হবে বিহারকে। এদিন বিহারের সাসারামে ভোজপুর বেল্টে তিনি ভোজপুরীতেও কথা বলেন।

আরও পড়ুন:মেঘালয়ে টার্গেট বাঙালিরা?
