মেঘালয়ে টার্গেট বাঙালিরা?

বাঙালি বিরোধী পোস্টারের ছেয়ে গিয়েছে মেঘালয়ের বিভিন্ন প্রান্ত। শিলং সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাঙ্গালীদের বিরূদ্ধে উস্কানিমূলক ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়েছে খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন তথা কে এস ইউ।

পোস্টারে লেখা হয়েছে, “মেঘালয়ের বাঙালিরা বাংলাদেশি,” “খাসিল্যান্ড খাসিদের জন্য।” পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সব সম্প্রদায়ের কাছে উৎসবের মরশুমে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে মেঘালয়ের সরকার। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ” প্রকাশ্যে যেসব পোস্টার ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহযোগিতা করুন।” এ বিষয়ে মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাহকম্যান রায়ইম্বু বলেন, ” রাজেশ শান্তি এবং সম্প্রীতি নষ্ট করে কোন কিছুই করা উচিত নয়। আমি প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ করছি এই ঘটনাকে যেন সাম্প্রদায়িক রং না দেওয়া হয়।”

এই ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের শুরুর দিকে। মেঘালয়ের ইছামতিতে সিএএ-র বিরুদ্ধে মিছিলের আয়োজন করে খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। সেই সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক সদস্যের। বুধবারের পোস্টারে ইছামতির ঘটনা এবং ওই মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডোনাল্ড তাবাহ বলেন, ” মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন একাধিক গোষ্ঠী এরমধ্যে ঢুকে পড়ছে। আমাদের মুখ খোলার সময় এসেছে আমরা বিরোধিতা করেছি। গোটা বিষয়ে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রিস্টাল সংখ্যাগরিষ্ঠরা ইছামতি অঞ্চলে হিন্দু বাঙালিদের উপর অত্যাচার করছে। এটা একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ। মেঘালয় পুলিশ একাধিকবার তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।”

এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসেবে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে আমি বলছি এইচএনএলসি- র মতো কেএসইউকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। যারা ব্রিটিশ আমল থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের থাকছেন তাঁদের দেশদ্রোহী সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশি বলে হুমকি দিচ্ছে।”

আরও পড়ুন:বিমলকে কেন গুলি করা হবে না! প্রশ্ন অমিতাভ মালিকের বাবা-মার

Previous articleইজেডসিসিতে ডোনার অনুষ্ঠান ফের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন বাড়াচ্ছে
Next article‘যদি আমি উত্তর না পাই…’, সুশান্ত মৃত্যু মামলায় মোদিকে ‘চরমপত্র’ সুব্রহ্মণ্যমের