স্কুল থেকে সরবরাহ করা হবে করোনা টিকা, ভাবনা কেন্দ্রের

স্কুলগুলিতেই হবে ভ্যাকসিন ‘বুথ’। এমনটাই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে তিনটি ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেক, আহমেদাবাদের জাইডার ক্যাডিলা, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’। ভ্যাকসিন উৎপাদনের আগে থেকেই কারা অগ্রাধিকার পাবেন সেই নিয়ে চলছিল জল্পনা। তবে তার অবসান ঘটেছে। যারা একেবারে কোভিড পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরাই এই প্রতিষেধক আগে পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যেমন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২০২১-এর শুরুতে ভ্যাকসিন আসার কথা থাকলেও, এখনই ভ্যাকসিন মজুত ও সরবরাহ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে।

একেবারে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমেই হবে এই গোটা প্রক্রিয়া। ভ্যাকসিন প্রাপকদের তথ্য ‘ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’-এ তুলে রাখা হবে। এটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এটি ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয়। এই সাইটে ভ্যাকসিনের স্টক সম্পর্কে সমস্ত আপডেট থাকে। তবে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রাপকদের তথ্য থাকে না। কিন্তু কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা হবে। পরবর্তী ডোজ এবং সার্টিফিকেট QR কোড ব্যবহার করেই ডাউনলোড করা যাবে।

সূত্রের খবর, দফায় দফায় হবে ভ্যাকসিন প্রদান। এর জন্য ব্যবহার করা হবে স্কুলগুলিকে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরবর্তী ধাপ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের উচ্চ-স্তরের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।

জানা গিয়েছে, প্রথম পর্বে তিন কোটি জনতাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সত্তর লক্ষ চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আরও ২ কোটি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করা কোভিড যোদ্ধাদের দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রে খবর, “কোভিড-এর টিকা অভিযানের ক্ষেত্রে একদম নীচের স্তর থেকেই বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যেমন জেলার হেলথ সেন্টার, জেলা হাসপাতাল কিংবা নির্বাচনী বুথগুলি। এমনকী স্কুলের কথাও পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন-বিজয়া-দশেরার শুভেচ্ছাতেও একে অপরকে বিঁধলেন মোদি-সোনিয়া