Monday, May 12, 2025

বিতর্কের জেরে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক ছাড়লেন ভারতে সংস্থার পাবলিক পলিসি প্রধান আঁখি দাস। ফেসবুকে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানো কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বিরোধীরা একযোগে সরব হয় আঁখির বিরুদ্ধে। যদিও ফেসবুকের তরফে সংবাদ সংস্থাকে পাঠানো ই-মেলে বলা হয়েছে, জনসেবার প্রতি আগ্রহ আছে আঁখির। সে বিষয়েই কাজ করতেই ফেসবুকের দায়িত্ব পালনে অব্যাহতি নিয়েছিলেন তিনি। এবার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভারতে ফেসবুকের সবচেয়ে পুরানো কর্মীদের অন্যতম ছিলেন তিনি। গত ৯ বছর ধরে কোম্পানির সম্প্রসারণ ও তার পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ায় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সংস্থার তরফে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন ফেসবুকের ইন্ডিয়া ডিরেক্টর অজিত মোহন।

ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় গণমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য ব্লকের ক্ষেত্রে আঁখির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সামগ্রিকভাবে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল ফেসবুককে নিয়েও। এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন রাজ্যসভার অধিবেশনে সরব হন। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীরব জোটসঙ্গী হিসেবে কাজ করছে ফেসবুক।

গত আগস্টেই দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও টাইম ম্যাগাজিন-সহ বিদেশি মিডিয়ায় অভিযোগ তোলা হয়, ফেসবুক ও তাঁদের মেসেজ সার্ভিস দেওয়া অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বিজেপির লোকজনের পোস্ট করা কনটেন্টের ক্ষেত্রে ঘৃণাবিদ্বেষ ছড়ানো ভাষণ সংক্রান্ত বিধিনিয়ম প্রয়োগ করেনি। দাবি করা হয়, সংস্থার এক এক্সিকিউটিভ, আঁখি দাস কোম্পানিকে বোঝান বিজেপির পোস্টের ক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গ হলে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে ফেসবুকের ভারতে ব্যবসায়িক স্বার্থ মার খেতে পারে।

বিদেশি মিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতে বিতর্ক হয় কেন্দ্রের শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে। ফেসবুকের তরফে যদিও সাফাই দেওয়া হয়, হিংসা ছড়াতে পারে, এমন কোনও কনটেন্টই মেনে নেয় না তারা। তাদের মতে, রাজনৈতিক অবস্থান বা আনুগত্য নির্বিশেষে বিশ্বের সর্বত্র এই নিয়ম মেনে চলেন তারা।

আরও পড়ুন- বাজির আগুনে ভস্মীভূত রামপুরহাটের পুজো মণ্ডপ

Related articles

পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলায় মদতের কথা স্বীকার করে ফেলল পাকিস্তান

২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন CRPF জওয়ান। জঙ্গি...

দেশের স্বার্থ বিরোধী: অশান্তির পরিস্থিতিতে বামেদের মিছিলকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল

পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যখন কেন্দ্রের সরকার অপারেশন সিন্দুর-এর মতো অভিযান চালাচ্ছে দেশের সেনা, সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা...

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...
Exit mobile version