এখনই অফিস খোলার পরিকল্পনা নেই: ফেসবুক

খায়রুল আলম (ঢাকা) : বাংলাদেশে শীঘ্রই অফিস খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অশিংদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব সেইফটি পলিসি অ্যাম্বার হকস মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের অফিস খোলার এই মুহূর্তে কোন পরিকল্পনা নেই। অফিস খোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নই মানে এমন নয় যে আমাদের সম্পর্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।”
“আমরা সম্প্রতি এক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিয়োগ করেছি। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে বিনিয়োগ করছি। এনজিও, নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা এবং সিভিল সোসাইটি সংস্থার সাথে কাজ করার ভাবছি। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার বাড়ানোর পরিকল্পনার করছি।”

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় বৈঠক করে। ওই বৈঠকের পরে সরকারের প্রতিনিধি দল জানিয়েছিল, ফেসবুক বাংলাদেশে একটি অফিস খুলতে আগ্রহী এবং তারা এখানে আঞ্চলিক প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকে বাংলাদেশি কনটেন্ট বিষয়ে যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানসহ বাংলাদেশের অংশ দেখাশোনার জন্য একজন বাংলাদেশি বাংলাভাষীকে পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত সেলস পার্টনার নিয়োগ দেয়।

ফেসবুকের সেইফটি পলিসি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, “স্থানীয় সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের সাফল্যের মূলমন্ত্র। এ বছরের শুরুতে আমরা আমাদের ইনফরমেশন হাবের মাধ্যমে করোনাকালীন কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে থাকা যাবে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি।”

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে ফেসবুকের বিভিন্ন নীতি, টুলসের কথা তুলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “ফেসবুক সহিংসতা সমর্থন করে কিংবা সহিংস কার্যকলাপে উৎসাহিত করে এমন পোস্ট সরিয়ে ফেলে। ফেসবুকে যেহেতু ১৮ বছরের কম বয়সী অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং আমাদের ব্যবহারকারীরা সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় তাই আমরা ব্যবহারকারীদের নগ্নতাপূর্ণ এবং অশালীন পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখি।
“২০১২ সাল থেকে ফেসবুকে কারো একান্ত মুহূর্তের ছবি অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা নিষিদ্ধ। কোন পরিস্থিতিতেই শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনমূলক ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে দেয় না।”

 

Previous articleবিহারে দুর্গা বিসর্জনে পুলিশের লাঠিচার্জে মৃত চার বাঙালি, মমতা নীতিশকে চিঠি বাংলাপক্ষের
Next articleবাংলাদেশ ‘ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে এসেছে’