পুজোয় বন্ধ হোক বাজি-শব্দবাজি। ফোরাম ফর ডক্টরর্স-এর পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে। আর এর জেরে রাজ্য সরকার পড়েছে ফাঁপরে। তাদের যেতেও কাটছে, আসতেও কাটছে।

কেন নিষেধাজ্ঞার স্বপক্ষে এই আবেদন চিকিৎসকদের? কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াকু এই ডাক্তাররা বলছেন, এমনিতেই রাজ্য জুড়ে চলছে কোভিডের হামলা। পুজোর পর তা ঊর্ধমুখী। তার সঙ্গে বাজি দূষণে নিশ্চিতভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সম্প্রতি বেলজিয়ামের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাজির দূষণে শ্বাসকষ্ট বাড়বে। গত বছর কোভিড পরিস্থিতির আগে বাজি দূষণে দেশ জুড়ে ১৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে সরাকারি সূত্রই জানাচ্ছে।

আর বাজি প্রস্তুতকারকরা অন্যদিকে জানাচ্ছেন, বাজি নিষিদ্ধ হওয়া মানে তাদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে। বাজি শিল্পের সঙ্গে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন। তাদের কথাও ভাবা উচিত।

আরও পড়ুন: কীভাবে হবে সমাবর্তন? অনিশ্চয়তার মেঘ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে


এখন রাজ্য সরকার কী করবে? দূষণের বক্তব্যও যেমন ন্যায্য, তেমনি বাজি উৎপাদকদের জায়গাটাও ভাবার বিষয়। এই অবস্থায় রাজ্য পড়েছে দোটানায়। বিষয়টি আদালতে গড়ানোর পথে। দুকূল রাখতে রাজ্য কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে উভয়পক্ষই।
