তাহলে এবার Post-Poll Violence মার্কিন মুলুকেও ? কণাদ দাশগুপ্তর কলম 

 

কণাদ দাশগুপ্ত

তিনি ভারতের ‘মিঁত্রো’à§· ‘সঙ্গদোষে’ তাই বোধহয় এ দেশের ভোট- কালচারের অঙ্গ ‘হুমকি’ দেওয়ার ‘গুণ’ রপ্ত করে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷

ভারতের যে কোনও নির্বাচনে বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেই যায় Post-Poll Violence বা ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনা৷ এবার মার্কিন মুলুকেও সংক্রমিত হলো এই ভোট পরবর্তী অশান্তির আশঙ্কা এবং আবহ৷ পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ যে সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় কার্যত কুঁকড়ে রয়েছে মার্কিন মুলুক।

নির্বাচন ঘিরে এই প্রথমবার মার্কিন মুলুকজুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে মূলত ট্রাম্প সমর্থকরাই৷ প্রায় সবক’টি Opinion- Poll বলেই দিয়েছে, এই নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে প্রাক্তন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি বাইডেন। বাস্তবে সেই ফল হলে ট্রাম্প সমর্থকরা তা কতটা মেনে নেবেন, সেই নিয়েই
স্ট্রিট-ফাইটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ উঠছে নানা প্রশ্নও, জাঁকিয়ে বসেছে আতঙ্ক৷ ভোট দেওয়ার শেষ দিনে তাই ওয়াশিংটনের দোকান- বাজার বনধের চেহারা নিয়েছে৷ হোয়াইট হাউসেও বিশেষ উঁচু বেড়া বসানো হয়েছে, যাতে কোনও প্রতিবাদী ভিতরে ঢুকতে না পারেন। সম্প্রতি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিলো যে সব এলাকা, সেখানে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আরও দৃঢ় করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আর এই হিংসার আশঙ্কার আবহে ঘি ছড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই৷ এক উস্কানিমূলক টুইট করে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন৷ পেনসিলভানিয়ায় ভোটিং নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে ট্রাম্প ওই টুইটে বলেছেন, “এর ফলে রাস্তাঘাটে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটবে৷” বাইডেনের শহরে পা রেখে হিংসা নিয়ে হুমকিও দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটকেও রেয়াত করেনি
টুইটার৷ ওই টুইটকে ‘ডিসপিউটেড’ ও ‘মিসলিডিং’ বলে জানিয়েছে টুইটার। এর অর্থ, ট্রাম্প যে মিথ্যা কথা কথা বলছেন, সেটাই প্রকাশ্যে জানালো সংস্থাটি৷

এদিকে নির্বাচনের শেষ খবর, ইতিমধ্যেই ৯৮ মিলিয়ন ভোট অর্থাৎ প্রায় দশ কোটি ভোট পড়ে গিয়েছে। ২০১৬ সালে ১৩.৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারনা। এই রেকর্ড সংখ্যক ভোটিংকে হাতিয়ার করে
ডেমোক্র্যাটরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে উৎখাত করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

জানা গিয়েছে, ভারতীয় সময় বুধবার দুপুরের মধ্যেই এই নির্বাচনের ফল এসে যাওয়া উচিত। বড়জোর সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে পারে৷ ফলে বিকেলের আগেই জানা যাবে আমেরিকার আগামী রাষ্ট্রপতি কে হতে চলেছেন।