Saturday, August 23, 2025

অতিমারি আবহে আলোর শহর চন্দননগরে এবার অন্ধকারের ছায়া। করোনার কোপ চন্দননগরের আলোক শিল্পে পড়েছিল অনেক আগেই। দুর্গাপুজোর সময় একের পর অনেক পুজো বাতিল অথবা ছোট হতে হতে, আলোক শিল্পের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকছিল।

তবে চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন যে পুজোটিকে কেন্দ্র করে, তা হল সেখানকার জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজোতেই তাঁদের শ্রেষ্ঠ আলোর কারসাজি তুলে ধরে মণ্ডপ ও শোভাযাত্রায়। আর সেই আলো দেখেই আকৃষ্ট হন পুজো উদ্যোক্তারা। পরের বছর পুজোর জন্য বায়না শুরু হয়ে যায় এই পুজোর পর থেকেই। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় লকডাউন। চায়না থেকে সস্তার এলইডি আলোর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন আলো তৈরি করা অনেকটাই পিছিয়ে যায়।

আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এখানকার শিল্পীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু দুর্গাপুজোয় সেই আশায় অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছিল কোর্টের অর্ডারে। আর সেখান থেকেই পুরোপুরি অন্ধকার নেমে এলো জগদ্ধাত্রী পুজোয়। বড় বড় পুজো যেগুলি হবে সাদামাটা ভাবেই। আলোর রোশনাইও থাকছে না এবার পুজোয়। তাই বলা যেতেই পারে, এই বছরের পুজোর শেষ আলোটিও নিভে গেল চন্দননগরে। যেকটি পুজো হচ্ছে, তাদেরকে মানতে হবে সরকারি নিয়ম, কোর্টের আদেশ।

আরও পড়ুন : বাংলা সাধকের ভূমি, এখানে তোষণের রাজনীতি উচিত নয়: দক্ষিণেশ্বরে মন্তব্য অমিতের

ভিড় যাতে না হয়, সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে সকলকে। এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়েছে আলোর ঝলকানি। শুধু মাত্র ঐতিহ্যের প্রতিমাই পুজো হবে মণ্ডপে মণ্ডপে। ফলে আশার আলো ফিকে হল চন্দননগরের আলোকচিত্রীদের।

Related articles

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...
Exit mobile version