Tuesday, November 11, 2025

প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ ঘোষ, ‘মালা থেকে ফুলগুলো খসে পড়ছে’ বললেন মানস

Date:

Share post:

 

সত্যজিত ঘোষ

চলে গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ ঘোষ। সোমবার সকালে হুগলির ব্যান্ডেলের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মাত্র ৬২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোহনবাগান ও জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার। আটের দশকে মোহনবাগান, জাতীয় দলে দাপিয়ে খেলা এই ডিফেন্ডারের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া ময়দান জুড়ে। ব্যান্ডেলে সমাজসেবী হিসাবেও যথেষ্ট পরিচিত সুনাম অর্জন করেছিলেন।

সোমবার সকালে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন হুগলির ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুরের বাসিন্দা। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, মেয়ে-জামাইকে। সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর রক্ষণের জুটি ছিল ময়দানের বহুচর্চিত। স্বভাবতই প্রিয় সতীর্থের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না সুব্রত ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন গোল কিপার তনুময় বসু। ১৯৮০ সালে ফুটবল কেরিয়ার রেলওয়ে এফসি থেকে শুরু করলেও, ময়দান তাঁকে মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ হিসেবেই জানে। ১৯৮২ সালে তিনি মোহনবাগানের জার্সি গায়ে তোলেন। মাঝে ১৯৮৫ সালে নেহরু কাপে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্বও করেন সত্যজিৎ। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে বাগানের ডিফেন্স আগলে রেখেছেন। তবে চোট-আঘাত তার ক্যারিয়ারের অনেকটা অংশ জুড়ে জায়গা করে নিয়েছিল। যদিও হাঁটুর চোট সারিয়ে আবার ১৯৮৯ সালে সবুজ মেরুন তাঁবুতে ফিরে আসেন সত্যজিৎ। খেলেন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত।

কৃশানু দে, কৃষ্ণন্দু রায়ের সঙ্গে অনুশীলনে সত্যজিৎ (হলুদ জার্সি)

সত্যজিৎ ঘোষের অকাল প্রয়াণে আক্ষেপের সুর প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যের গলায়। বলেন,”খুবই দুঃখের বিষয়। ওঁর জন্য আমরা কেউই কিছু করতে পারলাম না। সময় পেলাম। জানতেও পারলাম না ওঁর অসুবিধাগুলো। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। সম্প্রতি আমি চন্দননগরে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টে গিয়েছিলাম। ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সত্যজিতের সঙ্গে সেদিন অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম। ভালো খেলয়াড় ছিল, খুব ভালো, শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। ওঁকে নিয়ে আমরা অনেক টুর্নামেন্ট জিতেছি। আমাদের থেকে অনেক ছোট ছিল হঠাৎ করে এমনভাবে ওঁর চলে যাওয়া মন থেকে মেনে নিতে পারছিনা। জানিনা ২০২০-তে আর কী কী শুনতে হবে, শেষবেলাতেও ছাড়ছে না। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওঁর জন্য কিছু করার। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে সবটা শেষ হয়ে যাবে… খুবই বেদনাদায়ক। সত্যজিত ঘোষ, শ্যামল, এবং অচিন্ত এঁরা খুব ভালো খেলোয়াড় ছিল। এই তিন জন মোহনবাগান ক্লাবের খুবই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার ছিল। আস্তে আস্তে একটা মালা থেকে ফুলগুলো সব খসে পড়ছে… খুব খারাপ লাগছে।”

আরও পড়ুন-৪৯৯ বছর পর দীপাবলিতে বিরল কাকতালীয় যোগ ! জানুন এর গুরুত্ব

spot_img

Related articles

দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে সতর্ক লালবাজার, ইডেনে বর্জ্র-আটুঁনি

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের(IND vs SA Test) আগে ইডেন পরিদর্শনে নগরপাল মনোজ বর্মা(Manoj Varma)। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর সতর্ক...

Kiff: মঙ্গল-সন্ধ্যায় সিনে আড্ডায় হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী, শোনালেন ‘দুষ্টুমির গল্প’

সিনে প্রেমীদের এখন তীর্থক্ষেত্র নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর। সেখানে চলছে ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Kiff)। মঙ্গলবার, সন্ধেয় আচমকাই নন্দন...

ইডেনে পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিলের, হাসি-মজায় মাতলেন দুই পঞ্জাব পুত্র

ইডেনের ক্লাব হাউসে হঠাত দেখা দুই পঞ্জাব পুত্রের। ক্রিকেটের নন্দন কাননে দুই বন্ধুর রিইউনিয়ন। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার...

বেহালার মানুষের কাছে বিচার চাইবেন! পার্থ কি রাজনীতিতে ফিরতে চাইছেন?

দল বহিষ্কার করলেও রাজনীতিতে নামার ষোলো আনা ইচ্ছে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chatterjee)। মঙ্গলবার জেলমুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছেন। দীর্ঘ...