মালদহে শাসকদলের অনুষ্ঠানে গরহাজির কৃষ্ণেন্দু-মোয়াজ্জেম-মৌসম, জল্পনা তুঙ্গে

শিলিগুড়িতে দলীয় নেতৃত্ব মালদহের দলীয় কোন্দল মেটানোর পরামর্শ দিলেও, মাসখানেক পরেও অবস্থা কতটা পাল্টেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের অন্দরে। কারণ, রবিবার মালদহের ইংরেজবাজারে তৃণমূলের ব্লক সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েও প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র কিংবা তাঁদের অনুগামী নেতাদের কেউ হাজির হননি। তাতে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দুই তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ক্ষুব্ধ।

দুলাল সরকারের দাবি, সকলকে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও অনেক নেতাই আসেননি। যদিও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী দাবি করেছেন, তাঁকে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানানো হয় শনিবার রাতে। ইতিমধ্যে তিনি অন্যত্র দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তিনি যেতে পারেননি।

রবিবার, মালদহের টাউন হলে ওই সম্মেলন হয়। সেখানে শহরেরই বাসিন্দা দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র ছিলেন না। দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর ও জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনও জেলার বাইরে থাকায় সেখানে যাননি। দল সূত্রের খবর, ইংরেজবাজার পুর প্রশাসক নীহার ঘোষ ছিলেন।
মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অতীতে খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু-সাবিত্রীকে মিলেমিশে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মৌসমকে সভাপতি করার পরে দলের পুরানো নেতাদের একাংশ কিছুটা মনক্ষুণ্ণ হন বলে সূত্রের খবর।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মালদহে তৃণমূলের বিপর্যয় হয়। গত লোকসভা ভোটেও মালদহে খাপ খুলতে পারেনি তৃণমূল। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকে শিলিগুড়ি গিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে ডেকে তাঁর অভিযোগ শোনেন। মৌসমকে জেলার সমস্ত অনুষ্ঠানে কৃষ্ণেন্দুকে নিয়ে চলার পরামর্শ দেন। তারপরেও দলের নেতাদের একাংশের মধ্যে দূরত্ব কমছে না কেন সেই নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

আরও পড়ুন : নির্বাচনমুখী গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারতে দিলীপ-অমিতাভরা দিল্লিতে

Previous articleবাইডেনকে অভিনন্দন বার্তা হাসিনার, বলেন সম্পর্ক ‘নতুন উচ্চতা’ পাবে
Next articleহোয়াইট হাউস ছাড়লেও সুযোগ-সুবিধায় কোনও খামতি থাকছে না ট্রাম্পের