দলের বিধায়কদের এক মাস পাটনা থাকতে বললেন তেজস্বী, কিন্তু কেন?

নামমাত্র ব্যবধানে এনডিএর কাছে পরাজয়। রাজ্যের একক বৃহত্তম দল হয়েও ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। যে নীতীশ কুমার ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন, তাঁর নিজের দল জেডিইউ রাজ্যে তৃতীয় স্থানাধিকারী। এই পরিস্থিতিতে এখনই সরকার গড়ার সব অাশা ছাড়তে নারাজ আরজেডি। মহাজোটের নেতা তেজস্বী যাদব আরজেডির সব বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন, এখনই নিজেদের জেলায় না ফিরে আগামী এক মাস পাটনাতেই থাকতে হবে। জেলবন্দি লালুপ্রসাদ পুত্রকে বার্তা পাঠিয়েছেন, তাড়াহুড়ো না করে সময় মেপে পা ফেলতে হবে। এনডিএর সঙ্গে সংখ্যার ব্যবধান যা, তাতে সরকার গড়া অসম্ভব নয় বলে মনে করছে আরজেডি শিবির।

কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্যই বিহারে একটুর জন্য সরকার গড়া গেল না বলে মনে করছেন আরজেডি ও বাম নেতারা। কিন্তু তাও বিকল্প চেষ্টা জারি রয়েছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন। এনডিএ পেয়েছে ১২৫ ও মহাজোট ১১০। সরকার গড়তে আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দরকার ১২ জন বিধায়কের সমর্থন। জানা গিয়েছে, বিজেপিকে আটকানোর স্বার্থে তাঁর দলের ৫ বিধায়ক মহাজোটকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন মিম নেতা অাসাউদ্দিন ওয়েইসি। এনডিএ শিবিরের দুই ছোট দল জিতনরাম মাঝির এইচএএম ও মুকেশ সাহানির ভিআইপি পেয়েছে চারটি করে আসন। এই দুই দলই আগে একসময় মহাজোটের দিকে ছিল। এখন আবার মহাজোটের পক্ষ থেকে তাদের উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে, যাতে এই দুই দল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে মহাজোটে যুক্ত হয়। বলা হচ্ছে, এনডিএর ছাতার তলায় থাকলে যে সুবিধা পাওয়া যাবে, তার চেয়ে লাভ অনেক বেশি হবে মহাজোটের অংশীদার হলে। শেষ পর্যন্ত যদি এই উদ্যোগ আদৌ বাস্তবায়িত হয়, সেক্ষেত্রে মিম সহ তিন দলের মোট ১৩ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে বিহারে সরকার গড়ার জায়গায় পৌঁছে যাবে মহাজোট। তলায় তলায় চেষ্টা জারি রাখতেই আপাতত এক মাস দলীয় বিধায়কদের রাজধানী পাটনা থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তেজস্বী। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এখন না হলেও ভবিষ্যতে বিজেপির দাদাগিরি মেনে চলা অসম্ভব হবে খোদ নীতীশের পক্ষেও। তখন হয়তো তিনি মহাজোটের পুরনো বন্ধুদের কাছে ফিরে আসতেও পারেন।

 

Previous articleআটদিন পর ফের নিম্নমুখী শেয়ারবাজারের গ্রাফ! এবার লাভবান কোন কোম্পানিগুলি?
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ