Thursday, August 28, 2025

রবিবার রাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বীর শহিদ সুবোধ ঘোষের। জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে আক্রমণ করে পাকিস্তান। এই হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনজন সেনা জওনান এবং একজন বিএসএফ সাব ইন্সপেক্টর সহ মোট দশজন শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই একজন ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ। বয়স মাত্র ২৪, ভারতীয় সেনার গানারের পদে পোস্টিং ছিলেন কাশ্মীরেই।

আরও পড়ুন : শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে ঢুকতে বাধার অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ রাজ্যপালের

দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন সুবোধ। মা-বাবা-স্ত্রী-মেয়ের সমস্ত দায়দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। গত বছর জুলাই মাসেই বিয়ে করেছিলেন, বাড়িতে চার মাসের মেয়ে রয়েছে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে অন্ধকারে ডুবে গেছে তেহট্টের রঘুনাথপুরের ছোট্ট পরিবারটি। এখন তাঁর অবর্তমানে কী হবে, সেই ভাবনা গ্রাস করেছে পরিবারের সদস্যদের।

চার বছর পর এবছর ভাইফোঁটার দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল সুবোধের। বোন পলির তাই খুশির সীমা ছিল না। কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। কথামত ভাইফোঁটার আগের রাতে সুবোধ ফিরলেন ঠিকই, তবে কফিনবন্দী হয়ে। পলি কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন, চার বছর ভাইফোঁটা দিতে পারিনি। ভেবেছিলাম একবার অন্তত ফোঁটা দেব। কিন্তু সেটা আর হল না।

ভাইফোঁটা হোক বা রাখী আর কখনও ফিরবেন না সুবোধ। ঠিক ছিল ডিসেম্বরের শেষের দিকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসবেন, তখনই মেয়ের অন্নপ্রাশন দেবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল সুবোধের। পরিবারের আক্ষেপ, অপেক্ষাটাও আর থাকল না।

আরও পড়ুন : চোখের জলে শহিদ সুবোধ ঘোষকে বিদায় জানাল তেহট্ট

রবিবার গভীর রাতে সুবোধের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় রঘুনাথপুরের গ্রামের বাড়িতে। বীর শহিদকে শেষবার চোখের দেখা দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন গোটা গ্রাম ও আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষ। দেহ ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে।

আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের হানা, ভারতের প্রত্যাঘাতে নিহত ১১ পাক জওয়ান

রাতেই গান স্যালুটে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পলাশির তেজনগর মহাশ্মশানে। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version