বিএনপি অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে : শেখ হাসিনা

খায়রুল আলম , ঢাকা

‘বিএনপি মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উপনির্বাচনে তারা প্রার্থী দেয়। নির্বাচনের আগে খুব হইচই করে। যেদিন নির্বাচন সেদিনে দুপুরে পরাজয়ের ভয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করে। মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এমন করে।’
বৃহস্পতিবার  রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর  ভার্চচুয়াল সভায় তিনি  এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমি এখন ঘরের মধ্যে একা তাই মাস্ক পরছি না। কিন্তু লোকজন এলেই মাস্ক পরি। লোকজনের সামনে এলেই মাস্ক পরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে আগাম ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে সরকার। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে যেন খাদ্য সংকট তৈরি না হয় এ জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের  উন্নয়ন হয়। তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পাওয়াটাই বড় নয়, বরং কী দিতে পারলাম সেটাই বড়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এ বিষয়টি বুঝতে  হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল। আমরা প্রত্যন্ত এলাকায়ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। করোনাভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে দেশেই চিকিৎসাসেবা নেওয়া সম্ভব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি মাইনাসে চলে গেছে, কিন্তু আমরা ধরে রাখতে পেরেছি। করোনার মধ্যেও ব্যাংকগুলোকে ছাড় দেয়া হয়েছে। এতে অনেকেই ছোটখাটো ব্যবসা করেও বেঁচে থাকতে পারছে।’
সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হলে ভালো এতে সরকারের কার্যক্রমের ভালোমন্দ আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু অপপ্রচার কেন? সমালোচনায় আমাদের আপত্তি নেই, ভালো কাজ করলে সেটা একটু স্বীকার করুন ।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে পারেন, এতে হয়তো পত্রিকার কাটতি বাড়বে। হয়তো এনজিওর জন্য বিদেশি ফান্ড আসবে। কিন্তু এই ফান্ড কোথায় যায়? ভবিষ্যতে এটার হিসাব নেওয়া শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘চিরদিন কেউ বেঁচে থাকে না। সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি হলে অনেক কাজ করা যাবে।’

Previous articleজামিনের শর্ত অনুযায়ী ধর্ষিতা ও ধর্ষকের বিয়ে কারাগারে
Next articleশিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ, সংগঠন তৈরি বেসরকারি স্কুলগুলির