করোনা-রোধে মাত্র ৬০ শতাংশ কার্যকরী দেশীয় ভ্যাকসিন, জানাচ্ছেন বায়োটেকেরই কর্তা

ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন নাকি কার্যকরী হবে মাত্র ৬০ শতাংশ! করোনাভাইরাস রোধে একাধিক টিকা তৈরি হচ্ছে দেশে এবং দেশের বাইরেও। বেশিরভাগ ভ্যাকসিন প্রায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। শুক্রবারই হরিয়ানায় দেশীয় ভ্যাকসিন ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা-রোধী টিকার ট্রায়াল শুরু হয়। ৬৭ বছর বয়সি হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ অম্বালার একটি হাসপাতালে কোভ্যাকসিনের ডোজ নেন। ১৩৩ কোটি দেশবাসী এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা রোধী টিকা কোভ্যাক্সিন-এর জন্য। কিন্তু এরইমধ্যে কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকেরই কর্তা সাই ডি প্রসাদ জানাচ্ছেন, কোভ্যাক্সিন কার্যকরী হবে মাত্র ৬০ শতাংশ। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চান তাঁরা।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে একজোট হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে টিকাটি বাজারে আনা যাবে। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে ট্রায়াল। কিন্তু সেই লড়াইয়ে কি মিলবে সাফল্য? ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই ডি প্রসাদ বলছেন,”বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হোক, মার্কিন এফডিএ হোক কিংবা ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা, সবাই যে কোনও ভ্যাকসিন ৫০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করলেই সেই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের আশা, কোভ্যাক্সিন অন্তত ৬০ শতাংশ কার্যকর হবে। আরও বেশিও হতে পারে।” সাই ডি প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের কম হওয়ার সম্ভাবনা নগণ্য। অন্তত এখনও পর্যন্ত ট্রায়ালের রিপোর্ট সেকথাই বলছে।

এদিকে মার্কিন সংস্থা মোডার্নাও ব্যাপক চেষ্টা করছে করোনার টিকা আনার। তাদের দাবি তাঁরা সফলও হয়েছেন খানিকটা। ফাইজারের সঙ্গে একরকম হাড্ডাহাড্ডি ‘লড়াই’ চলছে প্রায়। মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় করোনা-রোধী টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে আমেরিকায় ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজার। এদিকে মোডার্না তাদের কোভিড প্রতিষেধক ‘mRNA-1273’ ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর সাব্যস্ত হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের উপর চালানো পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলে। শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যেই মোডার্না নিজেদের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চায়। টিকার সম্ভাব্য দাম কত হতে পারে শনিবার সেটাও ঘোষণা করে দিয়েছে সংস্থাটি। মোডার্নার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি করোনা টিকার দুটি ডোজের দাম হতে পারে ২৫ থেকে ৩৭ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৮০০ থেকে ২৭০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু ভারত সরকার এই ভ্যাকসিন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন-অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, রয়েছেন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে

Previous articleছত্রধরকে গ্রেফতার করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ NIA
Next articleমিস্টার কুলকে রাগাতে পারেন একজনই, কে তিনি? তথ‍্য ফাঁস সাক্ষীর