শ্বেত পাথরের মূর্তি, ৬৫০ পদের ভোগ! চন্দননগরকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কলকাতা উপকণ্ঠের জগদ্ধাত্রীপুজো

উৎসবের মরশুমে দুর্গাপূজার-কালীপুজোর পরই আসে জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে জগদ্ধাত্রী আরাধনায় জগৎ বিখ্যাত চন্দনগরের বা কৃষ্ণনগর। জগদ্ধাত্রী মানেই মানুষের মুখে মুখে চলে আসে দুই নগরের মাহাত্ম্য। এবার করোনা মহামারী আবহতেও মুখেমুখে চন্দননগর বা কৃষ্ণনগর।

কিন্তু আপনি কি জানেন, এই দুই নগরকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জগদ্ধাত্রী পুজো। হ্যাঁ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বৈকন্ঠপুর এলাকার জগদ্ধাত্রী আরাধনা দেখার মত।

এখানে মায়ের পুজোয় থাকে অন্নকূট, বহু পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের পুজো। এই মোহময়ী মায়ের মূর্তি আসে সুদূর রাজস্থান থেকে। যেখানে সাড়ে ৮ ফুটের মাতৃরূপকে একটি গোটা শ্বেত পাথর খোদাই করে এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। আজ থেকে ৫২ বছর আগে এই পূজা শুরু হয়। বৈকন্ঠপুর সাধারণ সম্মিলনির পরিচালনায় এবং এলাকার মানুষের সহায়তায় এই পুজো সম্পন্ন হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।

এখানকার পুজোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, মা জগদ্ধাত্রীকে
দেওয়া হয় ৬৫০টি পদের ভোগ, যা অন্নকূট নামে বিশেষ পরিচিত। মায়ের এই অন্নকূট দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই বৈকন্ঠপুর পুজো মন্ডপে।

এই অন্নকূটে মা-কে দেওয়া হয়–

(১) ১৩৫ রকমের মিষ্টি
(২) ১৫৭ রকমের বিভিন্ন পদের রান্না
(৩) ১১৭ রকমের বিভিন্ন কস্মেটিক
(৪) ৪৮ রকমের সব্জী
(৫) ৩৩ রকমের ফল
(৬) বিভিন্ন রকমের স্ন্যক্স, যেমন- ১৮০ রকমের চিপস, বাদাম ও অনান্য খাদ্য।
(৭) বেনারসি সমেত ১২০ টি শাড়ি, যা দান করে দেওয়া হবে। (৮) ১৫ রকমের আচার
(৯) ১০ রকমের চাটনি
(১০) ১৭ রকমের শাক ভাজা।

আরও পড়ুন-কৃষ্ণনগরের পুজোতেও সতর্ক পুলিশ কমিশনারেট

Previous articleজগদ্ধাত্রীপুজোতে সতর্ক নজরদারি কৃষ্ণনগর পুলিশের
Next articleবিচারপতি অমিতাভ লালা প্রয়াত