করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, ফের কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন, উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের

দেশে করোনা-সংক্রমণ ফের বাড়ছে৷ ফের কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷ পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে।

এমনই মন্তব্য দেশের শীর্ষ আদালতের৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছে৷ আদালতের মতে, কোভিড মোকাবিলার নিয়ম- কানুন সব ঠিকই আছে, কিন্তু বাস্তবে তা রূপায়ণ করার ক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যাচ্ছে৷ সেই ফাঁক ভরাট করার জন্য কাজের কাজ কিছুই করা হচ্ছে না।

বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেছেন, “আমরা এখন হামেশাই দেখছি লোকজন রাস্তায় আনন্দ করছেন, মিছিল-মিটিং করছেন, অথচ তাদের ৬০ শতাংশের মুখে মাস্ক নেই৷ আর ৩০ শতাংশের মাস্ক গলায় ঝুলছে। প্রশাসন শক্ত হতে পারছে না৷ এভাবে চলতে দেওয়া যায়না৷ আদালত বলেছে, এখনই কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার প্রয়োজন, নাহলে প্রশাসনিক সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এদিন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও মৃতদেহ সৎকার সম্পর্কিত এক মামলা শুনছিলেন। সেখানেই দেশের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, রাজ্যগুলির ঠিকভাবে কোভিড-নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত৷ বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, কোভিডের এবারের ঢেউ আগের বারের থেকে খারাপ৷ এর পরই সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, সেক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, অথচ কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেই জানায় আদালত। সলিসিটার জেনারেল এই প্রসঙ্গেই বলেন, এই ইস্যুতে আমরা- ওরা নয়, একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

কেন্দ্র এদিন আদালতে জানায়, মোট অ্যাক্টিভ কেসের ৭৭ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০ রাজ্যে ঘটে চলেছে। গুজরাতে কোভিড রোগীদের মৃত্যু নিয়েও রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে আদালত। এ বিষয়ে পরের শুনানিতে গুজরাতকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ বিভিন্ন রাজ্যে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে সে ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি পয়লা ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন-চিনকে নজরে রেখে, নেপাল-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভারত

Previous articleচিনকে নজরে রেখে, নেপাল-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভারত
Next articleপিতৃহীন দীপালির বিয়ের খরচ দিলেন বন অফিসার, করলেন কন্যাদানও