দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়ানো এবং মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল এবার জেলাওয়ারি পর্যালোচনায় নেমেছে ৷

আর এই পর্যালোচনা- বৈঠকে প্রথমেই ডাকা হয়েছে মালদহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে৷ মালদহ জেলায় তৃণমূলের সংগঠন গড়ে উঠেছে মূলত শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই৷ বেশ কয়েক বছর তিনি এই জেলার দায়িত্বে ছিলেন৷ হাতের তালুর মতো চেনেন মালদহ জেলাকে, জেলার নেতাদের৷ মালদহ জেলায় শুভেন্দুর এখনও কতখানি প্রভাব রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক৷ সেই লক্ষ্যেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলকে কলকাতায় তলব করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ডাকা হয়েছে মালদহের একাধিক নেতাকেও৷ আজ, শনিবার বিকেলে কলকাতায় তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। দীর্ঘদিন পর গুরুত্ব দিয়েই ডাকা হয়েছে মালদহের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি ও সাবিত্রী মিত্রও। এই বৈঠকে থাকবেন মালদহের জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন,জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুর। তৃণমূলের তিন জেলা কোঅর্ডিনেটরও থাকবেন। বৈঠকে যাঁরা থাকবেন তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর মালদহ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সংগঠন নিয়ে এই বৈঠক নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগে ‘অভিযোগ’ উঠেছিলো, মালদহ জেলা পরিষদের ৯ সদস্য দিঘায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির নামেও শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠতার প্রচার রয়েছে৷ পরে অবশ্য সভাধিপতি বার্তা দেন, তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গেই উন্নয়নে কাজ করতে চান তিনি৷

দলের তরফে প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশিসময় মালদহের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। টানা এতদিন পর্যবেক্ষক থাকার কারনে মালদহের তৃণমূলের সবকিছুই তাঁর নখদর্পণে৷ ওই জেলার প্রায় সব
নেতানেত্রীর সঙ্গেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠতা পুরোমাত্রায়। শুভেন্দুর মদতেই দলীয় রাজনীতিতে এই নেতাদের বেড়েছে গুরুত্ব। তৃণমূল শীর্ষস্তর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে চাইছে, শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ার পর মালদহে তৃণমূল কতটা অটুট৷ মালদহ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কী বার্তা দেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তা নিয়ে কৌতূহল চরমে৷ শনিবারের বৈঠকে যাঁরা থাকবেন তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সেক্ষেত্রে দলের তরফে তাঁদের কী বলা হয়, তাও দেখার৷

আরও পড়ুন-রাতভর তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল-ভাঙচুর খেজুরিতে, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে
